মিয়ানমার উচ্ছেদ করছে কারেন জনগোষ্ঠীকে
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বেশ আগে থেকেই দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মিয়ানমারের জঙ্গলে বসবাসরত সাধারণ মানুষকে অত্যাচারের পাশাপাশি গুলি করে হত্যা করে আসছিল দেশটির সামরিক বাহিনী।
সারা বিশ্বের চোঁখের আড়ালে হওয়া এই হত্যাকাণ্ড ও অত্যাচার এখনও চলছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মতো উচ্ছেদ করা হচ্ছে কারেন জনগোষ্ঠীর মানুষদেরও।
জানা যায়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অত্যাচার ও নিপীড়নের কারণে আট হাজারেরও বেশি জাতিগত কারেন জনগোষ্ঠীর মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, গত প্রায় ১০ বছর ধরে সেখানে এই অবস্থা বিরাজ করছে।
কারেন জনগোষ্ঠীর এসব মানুষ এখন জঙ্গলে বসবাস করছেন। তারা এখন তাদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। আবার এই অবস্থা যে খুব তাড়াতাড়ি পরিবর্তন হবে এমন সম্ভাবনাও কম।
সংবাদমাধ্যমগুলোর মাধ্যমে জানা যায়, গত মাসে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করার পর গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করা মানুষের ওপর দমন-পীড়ন চালানোর মাধ্যমে দেশটির সীমান্ত এলাকায় চলা এই সংকট ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে।
তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে নিজেদেরই বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে জাতিগত সংখ্যালঘু বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষদের উচ্ছেদ করতে তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে।
কারেনের প্রধান রাজনৈতিক দল ‘দ্য কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন’ বর্তমানে বাস্তুচ্যুত এসব মানুষের খাবার, আশ্রয় ও নিরাপত্তাসহ মৌলিক অধিকারসমূহ নিশ্চিত করে আসছে।
কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের পররাষ্ট্রবিষয়ক দফতরের প্রধান পাডোহ সাউ তাউ নি ই-মেইলের মাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বাস্তুচ্যুত এসব মানুষের মৌলিক অধিকার আপাতত নিশ্চিত করতে সক্ষম হলেও ভবিষ্যতে এটা তাদের জন্য চ্যালেঞ্জে পরিণত হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আর তাই বাস্তুচ্যুত এসব মানুষের প্রয়োজন মেটাতে যত দ্রুত সম্ভব সহায়তা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসা উচিত।’
মিয়ানমারে অন্য অনেক জাতিগোষ্ঠীর মতো কারেনও একটি জাতিগোষ্ঠী। ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে স্বায়ত্তশাসন দাবি করে আসছে তারা।