সারাদেশে হেফাজতের কর্মীরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধতা করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও হামলা করেছে। দলটির দাবী তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলি ও হত্যার প্রতিবাদে ২৭ মার্চ (শনিবার) দুপুরে চট্টগ্রামের জাতীয় মসজিদ জমিয়াতুল ফালাহর সামনে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
তারা জানান, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে হেফাজতে ইসলামের কর্মী নিহত এবং আহতের ঘটনায় বিক্ষোভ করছে দলটির জেলা মহানগর শাখা।
নির্ধারিত সময়ের আগেই মসজিদের সামনে হেফাজতের নেতাকর্মীরা জড়ো হন। বিক্ষোভ থেকে তাদের বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দিতে দেখা গেছে। এতে হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামবাদীসহ চট্টগ্রাম মহানগরের অন্য নেতারা অংশ নেন।
অন্যদিকে হেফাজতের বিক্ষোভ কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে পুলিশ। সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর ১২টা থেকে ওয়াসা, কাজির দেউড়ী, আলমাস সিনেমার হল মোড়ে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।
চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে হেফাজতের মিছিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চারজন নিহত হন। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।