চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বইমেলা নভেম্বরে
শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে আন্দরকিল্লার কেবি আবদুচ ছাত্তার মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভা করে এ তথ্য জানান সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
চসিকের ব্যবস্থাপনা ও চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ এবং চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজ, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত চট্টগ্রামের এ সম্মিলিত বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়।মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বইমেলার আহ্বায়ক নিছার উদ্দিন আহম্মেদ মঞ্জু, চসিকের প্রধান নির্বাহী শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সদস্য সচিব জামাল উদ্দিন, কবি হোসাইন কবির, অধ্যাপক মাছুম চৌধুরী, লেখক মোদাচ্ছের আলী, শিল্পী দীপেন চৌধুরী প্রমুখ।
মেয়র বলেন, করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। সবাই উদ্বিগ্ন। জেলা প্রশাসন বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করেছে। বইমেলার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলাম আমরা। অন্যবারের চেয়ে সুন্দর করতে চেয়েছি বইমেলা। পরিবেশ, পরিস্থিতি ও আপনাদের আলোচনার ভিত্তিতে বলছি, বইমেলা পিছিয়ে দিতে হচ্ছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বইমেলা বন্ধ করার প্রশ্নই আসে না। এ মেলা সবার। চসিক আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে।
জামাল উদ্দিন বলেন, ঢাকার বইমেলায় সাধারণ পাঠক নেই বললেই চলে। যে স্টলে ৫০ হাজার টাকার বই বিক্রি হতো সেখানে ২ হাজারও হচ্ছে না। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে মাসব্যাপী বইমেলা করার দাবি জানাই।
উপস্থিত ছিলেন চসিক কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, রুমকি সেন গুপ্ত, সংস্কৃতি সংগঠক দেওয়ান মাকসুদ, বইমেলা মিডিয়া উপ-কমিটির আহ্বায়ক সাংবাদিক শুকলাল দাশ, প্রমার বিশ্বজিৎ পাল, বোধনের প্রণব চৌধুরী প্রমুখ।