শনিবার (২৭ মার্চ) দুপুর দেড়টায় নগরের জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা রোববার (২৮ মার্চ) সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলাম নেতা মির্জা ইয়াছিন, মহানগর নেতা ইউছুফ বিন ইয়াকুব, মাওলানা শামীম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সায়েম উল্লাহ, আলী উসমান, কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর ও মহানগর সেক্রেটারি লোকমান হাকিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আল্লামা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
হেফাজত ইসলাম কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর ও চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলাম বিক্ষোভ মিছিল শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন।
এদিকে শনিবারও (২৭ মার্চ) হাটহাজারীর পরিস্থিতি ছিল থমথমে। এলাকায় র্যাব সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন স্থানে সড়কে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দেওয়ায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এলাকার দোকানপাটও বন্ধ রাখা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (২৬ মার্চ) দুপুরে হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন । মিছিল থেকে হাটহাজারী থানা, ভূমি অফিস, ডাক বাংলোসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালান তারা।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে হেফাজত নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। মাদ্রাসাছাত্ররা চার পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর করে। তাদের মধ্যে শিক্ষানবীশ এএসপি ফারাবী ও এক এসআই গুরুতর আহত হলে তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশের একটি পিস্তল ছিনিয়ে নেয় বিক্ষোভকারীরা। সংঘর্ষে আহত অনেককে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। এরপর চমেক জরুরী বিভাগেও ভাঙচুর চালায় হেফাজত কর্মীরা।
এর প্রতিবাদে সারাদেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ পালনের ঘোষণা দেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। তিনি রোববার (২৮ মার্চ) সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে হরতাল কর্মসূচি পালন করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাতে হাটহাজারীর সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মুফতি জসিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব নাসির উদ্দিন মুনির, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদরিসসহ একটি প্রতিনিধি দল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করলেও কর্মসূচি প্রত্যাহার করেনি হেফাজতে ইসলাম