দেওয়ান হাট সিএসডিতে মুজিববর্ষ উদযাপন
স্বাধীনতা তুমি বাংলার বুকে, মুজিবের নাম শিরোনামে খাদ্য অধিদপ্তর দেওয়ানহাট সিএসডির উদ্যোগে গত ২৬ ও ২৭ মার্চ দুই দিনব্যাপী মুজিববর্ষ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব পালিত হয়। বর্ণাঢ্য এ উৎসবের উদ্বোধন হয় ২৬ মার্চ সকাল ১০টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনা ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। উদ্বোধন করেন আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জহিরুল ইসলাম খান। হালিশহর সিএসডির ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের (হাসান জাহাঙ্গীর) সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু নাঈম মো. শফিউল আলম। র্যালি ও শোভাযাত্রা শেষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর শহীদের প্রতি গার্ড অব অনার প্রদান করে দেওয়ানহাট সিএসডির আনসার বাহিনী।
উদ্বোধনী আলোচনা শেষে শিশু-কিশোরদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু বিষয়ে তিনটি বিভাগে মধ্যে রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং খাদ্য পরিবারের সদস্যদের ক্রিকেট টুর্নামেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করা হয়।
দ্বিতীয় দিন অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকাল ৪ টায়। এ দিন অতিথিরা বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত বেলুন, ফ্যাস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত মুজিববর্ষে স্বাধীনতা উৎসবের সূচনা করেন। বাচিক শিল্পী ও লেখক দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত (অব:) পরিচালক নাজমে আরা বেগম।
অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জহিরুল ইসলাম খান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু নাঈম মো. শফিউল আলম, সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক অনিল চন্দ্র চাকমা, নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজী, কারিগরি খাদ্য নিয়ন্ত্রক রূপান্তর চাকমা, সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুনিল দত্ত, খাদ্য পরিদর্শক সমিতির সহ-সভাপতি ফখরুল আলম, হালিশহর সিএসডির ব্যবস্থাপক থোয়াই মং প্রু মারমা, তেজগাঁও সিএনডির ব্যবস্থাপক চন্দ্র শেখড় মল্লিক, বাংলাদেশ খাদ্য কর্মকর্তা সমিতির সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন ঢালী, মহাসচিব আব্দুল্লাহ হিস সাফী, যুগ্ম মহাসচিব মো. কাউসার, সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিকুর রহমান, অর্থ সম্পাদক আমিরুল ফারুক, নির্বাহী সদস্য আনোয়ার পারভেজ, চট্টগ্রাম বিভাগের সহ-সভাপতি সালমা আক্তার, সহকারী উপ পরিচালক শাহ্ জামাল, সহকারী জিয়াউল করিম তারেক, সহকারী ব্যবস্থাপক মো. নাসির উদ্দিন ও হালিশহর সিএসডির সহকারী ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, “খাদ্য অধিদপ্তর দেওয়ানহাট সিএসডি মুজিব বর্ষে বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মদিন পালন ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে যে সমৃদ্ধ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তা অভূতপূর্ব। উদ্বোধক বলেন, “দু’দিন ব্যাপী এ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের মনে মুজিবের প্রতি ভালবাসার প্রকাশ ঘটেছে। আয়োজকরা এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতি যে ভালবাসা ও দায়িত্ববোধে পরিচয় দিয়েছে তা অনন্য”। অনুষ্ঠানের মূল পরিকল্পনাকারী ও সভাপতি বলেন, যার জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হত না তিনি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মহান স্থপতি।
উৎসবের মূল আকর্ষণ ছিল প্রতিনিধি নাট্য সম্প্রদায় প্রযোজিত নাটক রাজা-রাণী। দু’দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে পুরো দেওয়ানহাট সিএসডি বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, ভাষা শহীদদের ছবির ব্যানার দিয়ে সাজানো হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল একক সঙ্গীতানুষ্ঠান, আদিবাসী নৃত্যসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংগঠনের দলীয় নৃত্য পরিবেশনা, বঙ্গাসন-নাটিকা, প্রথম দিনের প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও র্যাফেল ড্র।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি