নগরের কাজীর দেউড়িতে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি এর আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও মনোয়ারা বেগম মনি সহ ৫ জন নারী নেত্রীর রিমান্ড না মন্জুর করেছে আদালত। তবে আদালত বিএনপির ১১ নেতা-কর্মীর এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
বুধবার (৩১ মার্চ) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজা এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মারুফুল হক চৌধুরী মারুফ, আব্দুল মোতালেব প্রকাশ কিং মোতালেব, মো. ফিরোজ, তারেক আজিজ, মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক, সাইদ তানজিম মাহমুদ, আব্দুর রহিম প্রকাশ মিনার রহিম, মো. আলি আকবর হোসেন, মো. লিটন, মো. হায়দার হোসেন ও সাকিব হোসেন।
আসামিদের আইনজীবী বদরুল আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালত ডা. শাহাদাতের রিমান্ড না মঞ্জুর করেছেন এবং একই সাথে আমাদের করা আবেদনে তাকে কারাগারে ডিভিশন বন্দীর সুযোগ সুবিধা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার ৩০ মার্চ ডা. শাহাদাত হোসেন সহ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করেছিল পুলিশ। আদালত আজকে রিমান্ড শুনানির সময় দিয়ে প্রত্যেককে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২৯ মার্চ দুপুর তিনটা থেকে মোদিবিরোধী বিক্ষোভে হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষের প্রতিবাদে বিএনপি যে কর্মসূচি দিয়েছে তা পালন করতে এসে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল বিএনপি। এসময় ককটেলবাজি, অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি পুলিশের ওপরও হামলার অভিযোগ রয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তাদের হামলা থেকে বাদ যায়নি পুলিশ বক্স, পুলিশের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত ঢাল ও স্বয়ং পুলিশ সদস্যরাও—এমন দাবি পুলিশের। যদিও হামলার পর নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাতসহ ১৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওই দিন গভীর রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় দু’টি মামলা দায়ের করে পুলিশ। একটি কোতোয়ালী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে অন্যটি ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে। প্রত্যেক মামলাতেই নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও নগর কমিটির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, নগর যুবদলের সভাপতি-সেক্রেটারি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি-সেক্রেটারি, ছাত্রদলের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ নগর বিএনপির শীর্ষ ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে ট্রাফিকের পুলিশ বক্সে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় নাসিমন ভবন থেকে গ্রেপ্তার ১৫ জনকে আসামি না করায় সেই মামলায় এজহার নামীয় আসামি করা হয়েছে ৪৩ জনকে।
অন্যদিকে নগর বিএনপির মহিলা বিষয়ক সহ-সম্পাদক ডা. লুসি খান সিটি নির্বাচনের সময় কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছেন দাবি করে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছিলেন চকবাজার থানায়। সেই মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন ডা. শাহাদাত।