নির্বাচন কমিশন (ইসি) সরল বিশ্বাসে কেউ দুইবার ভোটার হলে মাফ করে দেবে। তবে উদ্দেশ্য অসৎ হলে মামলা দেবে। আর বিষয়টি যাচাই করবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত কমিটি।
১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি বলেন, বৈঠকে দ্বৈত ভোটারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং বিকল্পভাবে নিষ্পত্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কমিটি করে শুনানি সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অশোক কুমার বলেন, অনেকে না বুঝে সরল বিশ্বাসে দ্বৈত ভোটার হয়েছেন। আবার অনেকে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে দ্বৈত ভোটার হয়েছেন। এজন্য মাঠ প্রশাসন থেকে কমিশন বিষয়টি যাচাই বাছাই করবেন।
এক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। জাতীয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডির) মহাপরিচালক কমিটি করে দিবেন। কমিটি যাচাই বাছাই করবে।
ইসির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রে দ্বৈত ভোটার হওয়ার ঘটনা ঘটে। কিছুটা অজ্ঞতা বা অসচেতনতার কারণে। ভোটার হিসেবে নিবন্ধন হওয়ার পর দীর্ঘ সময়ে জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে না পাওয়া, নিবন্ধনের স্লিপ হারিয়ে ফেলা,
প্ররোচনা, শিক্ষা সনদ ও জন্ম নিবন্ধনের বয়সের সঙ্গে ভোটার হিসেবে বয়সের গড়মিল থাকায় সনদ অনুযায়ী দ্বিতীয়বার ভোটার হওয়ার চেষ্টা করেন অনেকে।
এছাড়া জেনে ও বুঝে উদ্দেশ্যমূলকভাবেও কেউ কেউ দ্বৈত ভোটার হয়ে থাকেন। দেশে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর থেকে প্রায় ৬ লাখের মতো নাগরিক দুইবার ভোটার হয়েছেন। আরো ৬ লাখের মতো নাগরিক দুইবার ভোটার হওয়ার চেষ্টা করেছেন।
নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আলাদা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এতে দলগুলোকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ আরো ১০ বছর সময় দেওয়ার বিধান আনতে চাচ্ছে।
এক এগার সরকারের সময় দেশে প্রথমবারের মতো নির্বাচনমুখী দলগুলোর জন্য নিবন্ধন দেয়ার উদ্যোগ নেয় কমিশন। সে সময় নিবন্ধন প্রাপ্ত দলগুলোকে সকল পর্যায়ের কমিটিতে ২০২০ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য পদ পূরণে প্রতিশ্রুতি দিতে হয়েছিল।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৩৯টি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠকটি নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে সোয়া ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।