এবারের লকডাউনে যেসব বিধিনিষেধ মানতে হবে
দেশে করোনা মহামারির প্রকোপ ঠেকাতে দেয়া হয়েছে কঠোর লকডাউন ও নানান বিধিনিষেধ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সবাইকে এ বিধিনিষেধ মানতে হবে। লকডাউন ও বিধিনিষেধ মানাতে কঠোর ভস্থানে থাকবে পুলিশ প্রশাসন। এবারের লকডাউনে যা যা করা যাবে এবং কি কি বিধি নিষেধ মানতে হবে তা উল্লেখ করা হয়েছে এবারের প্রজ্ঞাপনে।
এবারের লকডাউনে যা যা করা যাবে-
করোনায় সাতদিনের লকডাউনে বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি পণ্য পরিবহন করা যাবে। উৎপাদন ও জরুরি সেবা দেওয়া যাবে। শিল্প-কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় শ্রমিকদের আনা-নেওয়া করতে পারবে।
বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (স্থল, নদী ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম চলবে।
ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসাসেবা, মরদেহ দাফন/সৎকার সংশ্লিষ্ট কাজ করা যাবে। টিকা কার্ড দেখিয়ে টিকা নেওয়ার জন্য যাতায়াত করা যাবে।
টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি) সেবা দেওয়া যাবে।
গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া) কর্মীরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
জরুরি সেবার মধ্যে কৃষি উপকরণ, খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান চলমান থাকবে।
গতকাল রমজানের নতুন সময়সূচি প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রজ্ঞাপনে সুপ্রিম কোর্ট দেশের আদালতের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
লকডাউনে যে বিধিনিষেধ মানতে হবে-
এবারে করোনার ধকল ঠেকাতে লকডাউনে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকলেও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে। কোনোভাবেই কমস্থল ছেড়ে যাওয়া যাবে না।
সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা এবং সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যাবে না। শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে।
কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯টার আগে এবং বিকেল ৩টার পর বিক্রি করা যাবে না।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জুমা ও তারাবির নামাজ নিয়ে নির্দেশনা জারি করবে।