স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সুন্দর নগরীর পূর্বশর্ত: মেয়র
আধুনিক ট্রাফিক সিস্টেম বাস্তবায়ন কার্যক্রমের প্রথম পর্যায়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ জিইসি ও নিউমাকের্ট মোড়ে শুরুর প্রস্তাবণার উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এক্ষেত্রে শুরুটা যা-ই হোক না কেন শেষটা ভাল হলেই বড় প্রাপ্তি হবে।
স্মার্ট ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশান অনুষ্ঠানে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, উন্নয়নশীল দেশে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে প্রায়োগিক ও স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আজ সোমবার (১২এপ্রিল) সকালে টাইগারপাসস্থ তাঁর দপ্তরে এ বিষয়ে প্রেজেন্টেশান উপস্থাপনায় সভায় তিনি একথা বলেন।
মেয়র বলেন, নগরীর যত্রতত্র হকারদের পসরা সাজানোর কারণে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং আরো একটি প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে নগরীতে যানবাহনের জন্য পর্যাপ্ত পার্কিং স্পেস না থাকা। চট্টগ্রাম নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে বন্দরমুখী সড়কগুলোর উভয়পাশে গড়ে উঠেছে ভারী যানবাহনের স্ট্যান্ড। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট কেউই এ সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট নন। এই প্রেক্ষিতে যারা একটি সুষ্ঠু সমাধানের প্রস্তাবনা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন আমি তাদের সাধুবাদ জানাই।
তিনি বলেন, নগরীর সৌন্দর্যবর্দ্ধনে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার অপরিহার্যতা আছে। এ জন্যে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন এবং প্রত্যেকে নিজ-নিজ অবস্থায় থেকে সমন্বিতভাবে সুন্দর নগরী নির্মাণে আশা জাগিয়ে তুলবে।
এ সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দীন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর আফরোজা কালাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ঝুলন কান্তি দাশ, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী, স্মার্ট ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন টাউনপ্লেনার মো. শহিনুল ইসলাম খান, প্রকৌশলী মো. তারিকুল আলম, মো. শামীম, ম্যাস গ্রুপের পরিচালক রেজাউল করিম খান, মিজানুল রহমান, মনিষা চৌধুুরী উপস্থিত ছিলেন।