বাবরের অসাধারণ সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের দুর্দান্ত জয়
ক্রীড়া প্রতিবেদক
অধিনায়ক বাবর আজমের অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে চার ম্যাচ সিরিজের তৃতীয়টি টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিল সফরকারী পাকিস্তান। বুধবার (১৪ এপ্রিল) রাতে টস হেরে আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ পেয়ে জানেমান মালানের ৫৫ এবং মারক্রামের ৬৩ রানের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৩ রান সংগ্রহ দাঁড় করায় স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। লক্ষ্য তাড়ায় ১৮ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে ভিড়ে বাবর আজমের দল। ফলে ৪ ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান এখন ২-১তে এগিয়ে। টি-টোয়েন্টিতে এটি পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এর আগে এই সিরিজেরই প্রথম ম্যাচে ১৮৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জয় ছিল তাদের আগের রেকর্ড। শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১৬ এপ্রিল শুক্রবার।
২০৪ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ঝড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন। তাদের দুই জনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ঝড়ো গতিতে ঘুরতে থাকে রানের চাকা। জয় থেকে মাত্র ৭ রান দূরে থাকতে দলীয় ১৯৭ এবং ৫৯ বলে ১৫ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় অসাধারণ এক রেকর্ড গড়ে ব্যক্তিগত ১২২ রানে সাজঘরে ফিরেন বাবর আজম। ফলে ২ ওভার এবং ৯ উইকেটে হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সফরকারীরা। ওপেনার বাবর আজম আউট হয়ে গেলেও ব্যক্তিগত ৪৭ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত থেকে যান আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। এসময় ৮ রানে সাথে ছিলেন ফখর জামান। স্বাগতিকদের পক্ষে একমাত্র উইকেটটির মালিক উইলিয়ামস।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার জানেমান মালান এবং এইডেন মারক্রাম দারুণ সূচনা করে। উভয়ই পূর্ণ করেন ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ব্যাটসম্যান মারক্রামকে ১০.৪ ওভারে বোল্ড করেন ১০৮ রানের জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ নওয়াজ। তার আগে মারক্রামের ৩১ বলে ৪ ছক্কা ও ৬ চারে ৬৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। এর তিন নম্বরে নেমে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়ে ১৩.২ ওভারে দলীয় ১৪১ রানে ১১ বলে ২২ রান করে থামেন জর্জ লিন্ডে। পরের ওভারের প্রথম বলে ৪০ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৫ রান তুলে আউট হন মালান। অধিনায়ক হেনরিখ ক্লাসেনকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি হাসান আলী। ১৬৪ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৫ রানে তাকে সাজঘরে ফিরতে হয়। তবে শেষ পর্যন্ত ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন রাসি ফন ডার ডাসেন। পাকিস্তানের পক্ষে মোহাম্মদ নওয়াজ ২টি এবং শাহীন আফ্রিদি, হাসান আলী ও ফাহিম আশ্রাফ প্রত্যেকে একটি করে উইকেট পান।