খাঁচায় ফিরে গেলো জো বাইডেন
জন্মের পর মা পরীর দুধ না পেয়ে তিনটির মধ্যে দুটি শাবকের মৃত্যু হওয়ায় অপর বাচ্চাটি বড় হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় মানুষের কোলেপিঠে। হেসেখেলে বেড়ে উঠে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার বাঘের শাবকটি।
করোনা ভাইরাসের কারণে কঠোর লকডাউনে দর্শনার্থীশূন্য চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় পরীর ছেলে’জো বাইডেনের অবাধ বিচরণ ছিল গোটা চিড়িয়াখানা এলাকায়।
রাজকীয় স্টাইলে সোফায় শুয়ে বিশ্রাম করত। টাইলসের মেঝেতে চলত বাঁধনহারা ছোটাছুটি। তবে গত ২১ এপ্রিল পাঁচ মাস পূর্ণ হওয়ায় ২১ কেজি ওজনের ৪১ ইঞ্চি লম্বা শাবকটিকে চিড়িয়াখানার বন্দি খাঁচায় ছেড়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ সময় চিড়িয়াখানার পরিচালনা পরিষদের সদস্য সচিব ও হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমীন এবং চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন শুভ উপস্থিত ছিলেন।
ডা. শুভই দিনরাত এক করে বাঘিনীর হিংস্র থাবা থেকে বাঁচিয়ে তুলেছিল জো বাইডেনকে। তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানাতেই বাঘটির নাম রাখা হয়েছে জো-বাইডেন। এক দিনের বাচ্চা থেকে এ পর্যন্ত বড় করতে শাবকটির থাবা ও আঁচড় সহ্য করাসহ তার সাথে মধুর সম্পর্কের কথা জানালেন চিকিৎসক।
গেল বছরের নভেম্বরে জন্ম নেয় বাঘ শাবকটি। সম্প্রতি তাকে খাঁচায় পাঠানো হয়েছে। তাকে আদর যত্ন করে যারা বড় করেছেন, খাঁচায় বন্দি করায় মন খারাপ তাদেরও। জো-বাইডেন যেন তার আচরণ বুঝে নেয় এবং ভাববিনিময় ও বাঘসুলভ আচার-আচরণ আয়ত্ত করতে পারে সেজন্যই তাকে অন্য বাঘের কাছা কাছি রাখা হয়েছে।
বর্তমানে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ৬ টি বাঘ ছাড়াও সিংহ, জেব্রা, ময়ূর, গয়াল, বানর, চিত্রা ও হরিণসহ ৬৬ প্রজাতির সাড়ে ৬শ প্রাণী রয়েছে।