আলজাজিরার নারী সাংবাদিককে মারধর ও গ্রেফতার করল ইসরাইল
ইসরাইলের বর্বরতার খবর বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরায় গণমাধ্যমের ওপর বেজায় চটেছে ইহুদিবাদী দেশটি। এর জের ধরে শনিবার অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে বিক্ষোভের সংবাদ প্রচারকালে ইসরাইলি পুলিশ আলজাজিরার সাংবাদিক জিভারা বুদেইরিকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তার ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলে এবং মারধরের পর গ্রেফতার করে। কয়েক ঘণ্টা হেফাজতে রাখার পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ সময় আলজাজিরার ক্যামেরাম্যান নাবিল মাজাবির সরঞ্জাম ও ভাঙচুর করা হয়।
শনিবার বিকেলে মুক্তি পাওয়ার কিছুক্ষণ পর বুদেইরি আলজাজিরাকে বলেন, তারা চতুর্দিক থেকে ছুটে আসলো, আমি জানি না কেন। তারা আমাকে লাথি মেরে দেয়ালের ওপর ফেলে দেয়। তিনি বলেন, তাকে ক্রমাগত ধাক্কানো হচ্ছিল। তখন সঙ্গে থাকা ক্যামেরাম্যান তার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলে ক্যামেরাটিও ভেঙে ফেলা হয়।
জেরুজালেম থেকে আল জাজিরার আরেক সংবাদ কর্মী হোদা আবদেল হামিদ জানিয়েছেন, বুদেইরিকে কোনো কারণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তখন তার গায়ে ‘প্রেস’ লেখা জ্যাকেট ছিল। এমনকি হয়রানি এড়াতে তিনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দেয়া প্রেস কার্ডও দেখিয়েছিলেন পুলিশকে।
এসব থাকার পরেও ‘তার সঙ্গে সন্ত্রাসীদের মতো’ আচরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে বুদেইরি বলেন, পুলিশ তার বিরুদ্ধে একজন নারী সৈন্যকে লাথি মারার অভিযোগ এনেছিল। এমন অভিযোগ তিনি দৃঢ় ভাবে অস্বীকার করেছেন। তাকে ১৫ দিন শেখ জাররাহ না যাওয়ার শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক কড়া নিন্দা জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম সমর্থক ও পর্যবেক্ষক সংগঠনগুলো। আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোস্তফা সওগ এই গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, সব ধরনের আন্তর্জাতিক কনভেনশন লঙ্ঘন করে প্রতিনিয়ত আমাদের সাংবাদিকদের টার্গেট করা হচ্ছে। গেভারা বুদেইরি ও নাবিল মাজাওয়িকে হামলার মাধ্যমে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী সাংবাদিকদের মৌলিক মানবাধিকারকে পুরোপুরি অবজ্ঞা করেছে।
এদিকে, ইসরায়েলি পুলিশের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য হয়রানির কারণ হতে পারেন, এমন সন্দেহে এক নারী ও এক পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।