দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন
দেশের করোনার পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকরা। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনির ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৩ জুন সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জোরালো দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার (৯ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানানো হয়। একইসাথে সংগঠনটি বাজেটে ক্ষতিগ্রস্ত কিন্ডারগার্টেনগুলোর পুনর্বাসনে আর্থিক বরাদ্দের ব্যবস্থা করা এবং কমপক্ষে সপ্তাহে একদিন এক একটি শ্রেণির কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমতির দাবি জানায়।
অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান সরকার বলেন, দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো এক যুগান্তকারী ও সময়োপযোগী ভূমিকা পালন করে চলেছে। এটি কিছুটা হলেও বেকার সমস্যা দূরীকরণে ভূমিকা রাখছে। আমরা চাই, চলতি বাজেট অধিবেশনে কিন্ডারগার্টেনগুলো টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বাজেটে আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা হোক।
মিজানুর রহমান আরো বলেন, মহামারিতে পুরো দেশের মত আমরাও দিশেহারা। অর্থনীতির এমন টালমাটাল অবস্থায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর অবস্থাও শোচনীয়। যদি সরকার সহযোগিতা না দেয় তাহলে ৭৫ শতাংশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিকেএ চেয়ারম্যান মনোয়ারা ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. মো. আব্দুল মাজেদ, মাহমুদুল হক চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মো. ফারুখ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ হামিদুর রহমানসহ বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকরা।