উপবৃত্তি ও অনুদান প্রাথমিকে ঝরে পড়া রোধ করবে – চসিক মেয়র
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, করোনাকালীন সময়ে দারিদ্রতা হ্রাস ও প্রাথমিক পর্যায়ে ঝরে পড়া রোধ করতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে প্রকল্প গ্রহণ করে গরীব শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা উচিত। এই সহায়তা যত সামান্যই হোক বিভিন্ন সংস্থার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বেঁচে থাকার প্রণোদনা পাবে। আর এই ধরণের কার্যক্রমে সরকারও তাদের পাশে থাকবে।
তিনি গত বুধবার ( ৯জুন ) প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এলআইইউপিসি প্রকল্পের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তহবিলের আওতায় ২০১৯-২০ সালের ১ হাজার ২ শত ৩৩ জন শিক্ষানবীস উপকারভোগীদের মাঝে মোট ৩৬ লক্ষ ৬ হাজার টাকা ও শিক্ষা উপবৃত্তি অনুদান হিসেবে ১০০ শিক্ষার্থীকে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা তাদের রকেট একাউন্টের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। নগরীর টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, শিক্ষা সহায়তায় যে উপবৃত্তি ও অনুদান দেয়া হল তা যথাযথভাবে ব্যয় হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। কোনভাবেই উপবৃত্তি ও অনুদান প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা যাতে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ না করে। এই ধরণের সহায়তামূলক কর্মকান্ডকে সরকারি ও কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে উৎসাহ দিতে যত ধরণের সহায়তা লাগে তা করা হবে। পরে মেয়র ১৩ শত ৩৩ জন উপকারভোগীদেরকে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের রকেট এ্যাপের সহযোগিতায় মোট ৪০ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা তাৎক্ষণিক প্রেরণের ব্যবস্থা করেন। টাকা পেয়ে উপকার ভোগীরা উচ্ছাস প্রকাশ করেন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক এবং এতে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার মো. সরোয়ার হোসেন খান, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, সোসিও ইকোনমিক ও নিউট্রিশন এক্সপার্ট মো. হানিফ, টাউন ফেডারেশন চেয়ারম্যান কোহিনূর আক্তার সহ এলআইইউপিসি প্রকল্পের কর্মকর্তাগণ।