গাছ পাহারায় সশস্ত্র রক্ষী!১ কেজি আম পৌনে ৩ লাখ টাকা,
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম বলা হয় জাপানি প্রজাতির মিয়াজাকিকে। এর দুটি আমের এক কেজির একটি বাক্স বিক্রি হয় পৌনে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। সবচেয়ে অবাক হওয়ার মতো বিষয় হলো- আমটি প্রতিবেশী ভারত ও বাংলাদেশেও চাষ হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের বিচারে এই আম বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম। ১৯৭০-১৯৮০ সালের মাঝামাঝি সময়ে মিয়াজাকির ফলন শুরু হয় জাপানে। দেশটিতে এই আম দামি উপহার হিসেবে দেয়া হয়ে থাকে। দেখতে টকটকে লাল রং, মাঝে হালকা বেগুনি আভা। এর তুলনা টানা হয় দামি পাথর চুনার সঙ্গে।
এই আমকে প্রথম দেখায় বিশালাকৃতির ডিম ভেবে ভুল করতেও পারেন আপনি। তবে জাপানে এই আমকে ভালোবেসে ‘তাইও-নো-তোমাগো’ অর্থাৎ ‘সূর্য কিরণের ডিম’ বলা হয়।
বিশেষ ধরনের এই মিয়াজাকি আম এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হচ্ছে। এই তলিকায় রয়েছে ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড, ভারত ও বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশ।
ভারতের মধ্যপ্রদেশের এক দম্পতির বাগানে এই ‘মিয়াজাকি’ আম রয়েছে। কিন্তু এই গাছ দুটিই এখন তাদের সকল চিন্তার কারণ হয়েছে। এক গয়না ব্যবসায়ী আম কেনার জন্য প্রস্তাব দেন তাদের। কিন্তু প্রস্তাবে রাজি হয়নি মধ্যপ্রদেশের ওই দম্পতি।
দম্পতি জানিয়েছেন, এই আম বিক্রি করবেন না তারা। আমের বীজ থেকে গাছের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এমনকি গাছ থেকে কেউ যেন আম চুরি করতে না পারে সেজন্য রক্ষী রেখেছেন। চারজন সশস্ত্র পাহারাদার এবং ছয়টি কুকুর দিনরাত পাহারা দেয় ‘মিয়াজাকি’ আমগাছগুলো।
এই আম নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে স্থানীয় জওহরলাল নেহরু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনুকূল আবহাওয়ার কারণে ভারতে আমটি চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আমের চাষের জন্য প্রচুর রোদ, উষ্ণ আবহাওয়া ও নির্দিষ্ট পরিমাণ বৃষ্টি দরকার।
এদিকে, সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় নিজ বাড়ির ছাদে মিয়াজাকি চাষ করেছেন এক ব্যবসায়ী। তার ছাদ বাগানে বেশ ভালো ফলন হয়েছে আমটির।