চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন সেতুর গার্ডার ধসে ৩ জন আহত
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পটিয়ার শিকলবাহা কালারপুল সেতুর ৩টি গার্ডার ধসে পড়েছে। পিলারের ওপর গার্ডারগুলো স্থাপনের সময় ক্রেনের তার ছিঁড়ে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২৫ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুর্ঘটনায় সেতুর কাজে নিয়োজিত ৩ কর্মচারী আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- মোহাম্মদ রবিউল (৩০), মোহাম্মদ মফিজ (২৮) ও ফেরদৌস (৪০)। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) রাতে ক্রেনের কারিগরি সমস্যার কারণে বসানোর সময় তিনটি গার্ডার ধসে পড়ে যায়। এতে কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
সেতুটির নির্মাণে কোনো কারিগরি ত্রুটি আছে কি-না জানতে চাইলে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ বলেন, ‘ভেঙে পড়া গার্ডারগুলোর মধ্যে দুটির দূরত্ব মাত্র দুই মিটার। সে কারণে বসানোর সময় তিনটি গার্ডার নদীতে পড়ে যায়। কোনো অনিয়ম হয়নি। তবে এতে ঠিকাদারের ৭৫ লাখ টাকার ক্ষতি হবে।’
জানা গেছে, ২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে পটিয়া ও কর্ণফুলী উপজেলার সীমান্তবর্তী এ সেতুর নির্মাণকাজ চলছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে। সেতুটির নির্মাণকাজ পেয়েছিল রানা বিল্ডার্স ও হাসান বিল্ডার্স নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে তাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে জাকির এন্টারপ্রাইজ নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) শিকলবাহা খালের ওপর কালারপুল বেইলি সেতু নির্মাণ করে। সেতুটির দৈর্ঘ্য ছিল ৫৭০ ফুট ও প্রস্থ ১২ ফুট। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পণ্যবাহী বার্জের আঘাতে সেতুটির একাংশ বিধ্বস্ত হয়। ২০১৩ সালে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি সংস্কার করা হয়। ২০১৪ সালে এটি উদ্বোধন করেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর নামে সেতুটির নামকরণ করা হয়।
পটিয়ার কোলাগাঁও ও কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়ন সীমান্তে এ সেতু। বর্তমানে সওজ বিভাগের অধীনে প্রায় ২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে গার্ডার সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। সেতুটির নির্মাণকাজ ছিল রানা বিল্ডার্স ও হাসান বিল্ডার্সের হাতে। তাদের কাছ থেকে কাজটি কিনে নেয় জাকির এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চলতি জুন মাসে সেতুটি চালু করার কথা ছিল।