মেসির জোড়া গোলে বিধ্বস্ত বলিভিয়া

0 226

স্পোর্ট ডেস্ক :

দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসি গোল করলেন, করালেনও। আসরের সবচেয়ে দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রত্যাশিত ভাবেই দাপট দেখালো আর্জেন্টিনা।  বড় জয় নিয়ে গ্রুপ সেরা হয়েই নকআউট পর্বে উঠল এবারের কোপা আমেরিকার অন্যতম শিরোপা প্রত্যাশিরা।

ব্রাজিলের কুয়াবার অ্যারেনা পানতানালে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকালে কোপা আমেরিকার ম্যাচ হয়েছে একপেশে। তাতে বলিভিয়াকে ৪-১ গোল উড়িয়ে দিয়েছে আর্জেন্টিনা।

দলের জয়ে মেসি ছাড়াও গোল পেয়েছেন আলহেন্দ্রো গোমেজ ও লাউতারো মার্টিনেজ। বড় এই জয়ে অনুমিতভাবেই এ- গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। ৪ জুলাই কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ একুয়েডর।

এদিন খেলার শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ নেওয়া পর ৬ষ্ঠ মিনিটেই গোল পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। বক্সে ঢুকে লিওনেল মেসির পাস পেয়ে দারুণ ভলিতে জালে জড়ান আলেহান্দ্রো গোমেজ।

গোল পাওয়ার পরও পরের কয়েক মিনিটে আর্জেন্টিনাকে আর আক্রমণ সাজাতে দেখা যায়নি। রক্ষণ নিয়ে ব্যস্ত বলিভিয়াও মাঝমাঠ পার হয়ে আর্জেন্টিনার প্রান্তে ঠিকভাবে এগুতে পারছিল না।

৩০ মিনিটে দলকে পেনাল্টি পাইয়ে দেন সেই গোমেজই। বা দিক থেকে বল পেয়ে বক্সে ঢুকছিলেন এই ফরোয়ার্ড। বলিভিয়ান ডিফেন্ডার তাকে ফেলে দিলে রেফারি বাঁজান বাঁশি। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলের লিড ২-০ করে দিতে কোন সমস্যা হয়নি মেসির।

দুই মিনিট পর কর্নার থেকে ব্যবধান কমানোর সুযোগ হাতছাড়া হয় বলিভিয়ার।

৪২ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে মেসির উদ্দেশ্যে বল বাড়ান আগুয়েরো। বলিভিয়ার ডিফেন্ডারদের পেছনে ফেলে গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে টোকা মেরে ম্যাচে দ্বিতীয় গোল করেন মেসি। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে গোল পেতে পারতেন আগুয়েরো। তার শট যায় বার ঘেঁষে।

বিরতির পর ৫৩ মিনিটে আগুয়েরো সতীর্থের উদ্দেশে বক্সে বাড়ানো শট ফিরিয়ে দেন বলিভিয়ার ডিফেন্ডার।

৬১ মিনিটে বলিভিয়ার হয়ে  ব্যবধান কমান এরভিন সাভেদ্রা। ডান প্রান্ত থেকে পাওয়া ক্রস ধরে দারুণ দক্ষতায় জালে জড়ান তিনি।

মিনিট দুয়েক পরই আবার ব্যবধান বেড়ে যায়। আগুয়েরার বদলি নেমেই গোল পেয়ে যান লাউতারো মার্টিনেজ। একটি সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে গোলরক্ষকের পাঞ্চে ফিরে আসা বল ফাঁকায় পেয়ে জালে জড়ান তিনি। ৬৯ মিনিটে পেতে পারতেন আরেক গোল। এবার তার দুই শট ফিরিয়ে দেন বলিভিয়ার গোলকিপার কার্লোস ল্যাম্প।

ম্যাচের বাকি সময়ে কেউই ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। খেলার গতিও মন্থর হয়ে যায়। মেসির সামনে ছিল হ্যাটট্রিকের সুযোগ। নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর এসেছিল সামান্য সুযোগ। যোগ করা সময়ে মেসির শট বলিভিয়ার গোলরক্ষক ল্যাম্প ফিরিয়ে দিলে আর কোন গোল হয়নি।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.