আফগানিস্তান থেকে সব সেনা সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
দীর্ঘ দুই দশক পর আফগানিস্তানের বৃহত্তম ঘাঁটি ছাড়ল বিদেশি সেনারা। দেশটিতে অবস্থিত নিজেদের প্রধান সামরিক ঘাঁটি থেকে বিদায় নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সেনারা। শুক্রবার তারা বাগরাম বিমান ঘাঁটি খালি করে দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেন এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হওয়ার পরও কিছু মার্কিন সেনা দেশটিতে থেকে যাবে। তিনি শুক্রবার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন।
বাইডেন আফগানিস্তানের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কাজ অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী যাতে দেশের নিরাপত্তা রক্ষা করার মতো শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে সেজন্য আফগান জনগণের উচিত নিরাপত্তা বাহিনীকে সহযোগিতা করা। আফগান সৈন্যরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠলে আমরা আমাদের সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহার করব।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আফগানিস্তান সম্পর্কে সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বলেন, আমি এই মুহূর্তে আফগানিস্তান সম্পর্কে আর কিছু বলতে চাই না বরং আগামী সপ্তাহে এ ব্যাপারে আরো কথা বলব।
এর আগে বার্তা সংস্থা এপি একজন মার্কিন সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছিল, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের কাজ সম্পন্ন হবে এবং এরপর বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা রক্ষা করার জন্য ৬৫০ মার্কিন সেনাকে দেশটিতে মোতায়েন রাখা হবে।
শুক্রবার আফগানিস্তানের বৃহত্তম বিমান ঘাঁটি বাগরাম থেকে সর্বশেষ সেনা প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ সেনা ঘাঁটি। এখানে হাজার হাজার তালেবান বন্দিকে আটকে রাখা হয়েছিল। কাবুল থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এই ঘাঁটি থেকেই আফগানিস্তানে সকল বিমান হামলা ও কৌশলগত কার্যক্রম পরিচালনা করত মার্কিন সামরিক বাহিনী।
ওই ঘাঁটি আফগান সরকারের হাতে তুলে দেয়া হবে। শনিবার সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন এক আফগান কর্মকর্তা। এদিকে বাগরাম ঘাঁটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে তালেবান। সশস্ত্র এ গোষ্ঠীর মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, আমরা এই প্রত্যাহারকে ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে মনে করি। বিদেশি বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহারের মাধ্যমে আফগানরা শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে আরও কাছাকাছি আসতে পারবে।