চট্টগ্রামে কোটি টাকার ক্রিস্টাল মেথসহ আটক ৩
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা এলাকায় র্যাব-৭ এর অভিযানে ৯৭৫ গ্রাম ভয়ঙ্কর মাদক ক্রিস্টাল আইসসহ ৩ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন- শহিদুল ইসলাম টিপু (২৮), কাজী আমিনুর রশিদ (৪৮) ও মো. সাইমন তারেক (৪৯)। উদ্ধারকৃত এই মাদকের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি টাকা।
আজ মঙ্গলবার নগরীর পতেঙ্গায় র্যাব-৭ এর অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল এই তথ্য জানান।
র্যাব অধিনায়ক জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-এর একটি টিম ১২ জুলাই নগরীর কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা নতুন ফিসারী ঘাট এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারিরা মোটরসাইকেলযোগে পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ তল্লাশি করে ৯৭৫ গ্রাম মেথামফিটামিন উপাদানযুক্ত দানাদার মাদকদ্রব্য আইস জব্দ করা হয়।
মশিউর রহমান জানান, ক্রিস্টাল আইস মাদক মূলত মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশে সড়কপথে ও আকাশপথে ঢুকছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রির টার্গেট করে এসব মাদক আনা হচ্ছে। বেশি লাভের আশায় অন্য পেশা ছেড়ে এ মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছেন অনেকে। গ্রেফতারদের মধ্যে আমিনুর রশীদও একটি ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে মাদক ব্যবসায় জড়িত হন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ক্রিস্টাল মেথ অতি উচ্চমাত্রার একটি মাদক। এটি সেবনে অনিদ্রা ও উত্তেজনা তৈরি হয়। এর ফলে স্মৃতিভ্রম ও মস্তিষ্ক বিকৃতি, স্ট্রোক, কিডনি, লিভার নষ্ট হয়। এছাড়াও আইস সেবনের ফলে আত্মহত্যার মতো ভয়ানক প্রবণতা তৈরি হয়।
উল্লেখ্য, ১৮৮৭ সালে জার্মানিতে মারাত্মক সব ড্রাগের ওপর গবেষণা করতে গিয়ে আবিষ্কৃত হয় ক্রিস্টাল ড্রাগ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধবিমানের চালক ও সৈনিকদের সারাক্ষণ নির্ঘুম রাখতে জার্মান ও জাপানে মাদকটি ব্যবহারে উৎসাহিত করা হতো। পরবর্তীতে এই মাদকের নাম পরিবর্তিত হয়ে কোথাও ক্রিস্টাল মেথ, আইস, এক্সটেসি এবং এলাকাভেদে নানা ছদ্মনামে এর ব্যবহার চালু হয়।।