এবার পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জিমি আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চিত্রনায়িকা পরীমণি গ্রেফতারের ঘটনায় পুরো দেশ তোলপাড়। মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হলেও তার বিরুদ্ধে আরও বিভিন্ন অভিযোগ উঠে আসছে। এছাড়া তার সঙ্গে জড়িত থাকা বিভিন্ন ব্যক্তিকেও আটক করা হচ্ছে পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জিমিকে রাজধানীর গুলশান থেকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার (৬ আগস্ট) রাতে তাকে গুলশান থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হাফিজ আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, পরীমণি ইস্যুতে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করা হয় তাকে। এরপর শনিবার (৭ আগস্ট) তার বিরুদ্ধেও বনানী থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত জুন মাসে পরীমণি অভিযোগ তুলেছিলেন, উত্তরা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ অভিযোগে তিনি মামলাও দায়ের করেন। সে ঘটনার সময় আলোচনায় আসেন জিমি। জনমনে প্রশ্ন ওঠে, কে এই জিমি?
জানা গেছে, পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন জিমি। গত এক বছরের বেশি সময় ধরেই পরীর ছায়াসঙ্গী হয়ে আছেন তিনি। পোশাকসজ্জার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রভাবশালী ও ধনী ব্যক্তির সঙ্গে পরীমণিকে পরিচয় করিয়ে দিতেন এই জিমি। এমনকি জিমির মাধ্যমেই উত্তরা বোট ক্লাবে গিয়েছিলেন নায়িকা পরী।
বোট ক্লাব ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত ব্যক্তি ছিলেন অমি। তিনিও পরীমণিকে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে ‘বিশেষ উদ্দেশ্যে’ পরিচয় করিয়ে দিতেন বলে জানা যায়। সেই অমির সঙ্গে মূলত জিমির পরিচয় ছিল। আর তিনিই অমিকে পরীর কাছে নিয়ে আসেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে অমির সঙ্গে ঘোরাফেরা ও ঘনিষ্ঠ মেলামেশা করেছেন পরীমণি।
বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, জুনায়েদ করিম জিমি একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি। এজন্য তিনি একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছিলেন। একবার তিনি ইয়াবাসহ ধরা পড়েছিলেন বলেও পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। কস্টিউম ডিজাইনার পরিচয় হলেও তিনি আড়ালে কাজ করতেন একজন মধ্যস্ততাকারী হিসেবে। মডেল-অভিনেত্রীদের বিভিন্ন ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেয়াই তার মূল কাজ।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বিকালে বনানীতে পরীমণির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এরপর বিপুল পরিমাণ মাদকসহ তাকে আটক করে। পরবর্তীতে তার নামে মাদক আইনে মামলা হয়। বর্তমানে মামলাটি সিআইডির অধীনে রয়েছে।