করোনার নতুন আতঙ্ক ‘ওমিক্রন’

0 209

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের (ভ্যারিয়েন্ট) নাম রাখা হয়েছে ‘ওমিক্রন’। প্রাথমিকভাবে এটির নাম দেয়া হয়েছিল বি.১.১.৫২৯ । ধরনটিকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আর ভারতের বিখ্যাত অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস) জানিয়েছে, করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে টিকা কাজ নাও করতে পারে।

সংক্রমণ ঠেকাতে এরই মধ্যে আফ্রিকার নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র। একই পথে হাঁটছে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোও। তবে এখনই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

 

দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন নিয়ে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে উদ্বেগ। নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওমিক্রন’।সংক্রমণ ঠেকাতে এরই মধ্যে আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাজ্য। একই সঙ্গে দেশগুলো থেকে আসা ব্রিটিশ ভ্রমণকারীদের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেন, আমাদের বিজ্ঞানীরা নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। এ জন্য আফ্রিকার ছয়টি দেশের সঙ্গে সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। দেশগুলোকে লাল তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

 

যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি আফ্রিকার নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জার্মানি, ইসরায়েলসহ কয়েকটি দেশ। একই পথে হাঁটতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশ। এরই মধ্যে ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে বেলজিয়ামে নতুন এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।

 

দক্ষিণ আফ্রিকাসহ অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও কড়া নজরদারিতে রাখতে রাজ্য সরকারগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে ভারত। এদিকে নিষেধাজ্ঞার খবরে তড়িঘড়ি দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়ছেন বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা।

 

দক্ষিণ আফ্রিকার কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা জানিয়েছে, ফ্লাইট বাতিল করে কিংবা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভাইরাসটির বিস্তার রোধ করা সম্ভব নয়। সংস্থাটি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টিকে পুনরায় বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছে।

এদিকে, স্থানীয় সময় শুক্রবার জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, নতুন নতুন শনাক্ত হওয়া ধরনটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। ধরনটির সংক্রমণের ক্ষমতা এবং শারীরিক জটিলতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন এনেছে কিনা তা এ সময়ের মধ্যে খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি করোনার প্রচলিত চিকিৎসা ও টিকার ওপর কোনো প্রভাব আসবে কিনা তা জানার চেষ্টা করা হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.