মাগুরায় পালিত হচ্ছে মাগুরা মুক্ত দিবস

0 140

আজ ৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকহানাদার মুক্ত হয় মাগুরা। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলায় সকাল থেকে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

সকালে নোমানী ময়দানে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. বীরেন শিকদার, জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম, পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পংকজ কুন্ডু, পৌর মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুলসহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের নেতৃবৃন্দ। এসময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে অনুষ্ঠিত হয় দোয়া মাহফিল।

এছাড়া, বিকালে নোমানী ময়দানে বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে মাগুরা শত্রুমুক্ত হবার প্রেক্ষাপট ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভুমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে ভার্চ্যুয়ালী সংযুক্ত হবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী এমপি। সন্ধ্যা ৬ টায় অনুষ্ঠিত হবে ব্লাক আউট কর্মসূচি।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ৬ ডিসেম্বর মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনী যৌথভাবে নিজনান্দুয়ালী গ্রামসহ বিভিন্ন পাকিস্তানী ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। একই সাথে মিত্রবাহিনীর আগ্রাসনের ভয়ে পাকিস্তানী সেনারা রাতারাতি মাগুরা শহর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ৭ ডিসেম্বর মাগুরা শত্রুমুক্তির আনন্দে মুক্তিকামি মানুষের ঢল নামে সারা শহরে। জয় বাংলা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা মাগুরা এলাকা। যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের অন্যমত সংগঠক ভারতের রানাঘাট যুব ক্যাম্পের ইনচার্জ এমপি আছাদুজ্জামান মাগুরার মুক্তি বাহিনীকে দিক নির্দেশনা, যুদ্ধাস্ত্র ও রসদ সরবরাহ করতেন।

জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুজ্জামান বাচ্চু জানান, ৭ ডিসেম্বর  বিকেলে সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক আছাদুজ্জামান মিত্রবাহিনীর দায়িত্ব প্রাপ্ত সেনাপতি মেজর চক্রবর্তীর সাথে সাজোয়া যানে মাগুরায় প্রবেশ করেন। মাগুরা নোমানী ময়দানে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সম্মিলিত কুজকাওয়াজে আছাদুজ্জামান অংশগ্রহণের মাধ্যমে আনুষ্ঠনিকভাবে মাগুরাকে পাকহানাদার মুক্ত বলে ঘোষণা করেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.