মার্কিন প্রশাসনের সিদ্ধান্ত একপেশে: সেতুমন্ত্রী

0 177

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মার্কিন প্রশাসনের সিদ্ধান্ত একপেশে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

আজ রোববার (১২ ডিসেম্বর) সকালে সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে ব্রিফিংকালে এমন কথা বলেন তিনি।

এসময় সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত দেশের ভিতরে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসীদের উৎসাহিত করবে।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমেরিকা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সপ্তম নৌবহর প্রেরণ করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে খাদ্য সংকটের সময় ১৯৭৪ সালে কিউবার কাছে পাট বিক্রির অজুহাতে খাদ্যবাহী জাহাজ মাঝপথ থেকে ফিরিয়ে নিয়েছিল আমেরিকা।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ৭১’র গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ এবং ৭৫’র বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আমেরিকার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন ঝুলে আছে, তবুও বন্ধুত্বের প্রশ্নে স্পর্শকাতর এ বিষয়গুলোকে বাধা হয়ে দাঁড়াতে দেইনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। দ্বিপাক্ষিক এবং অভিন্ন ইস্যুসহ বহুপাক্ষিক ইস্যুতে দুই দেশ নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করছে। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন লগ্নে যুক্তরাষ্ট্রের এমন একটি সিদ্ধান্তে আমরা বিস্মিত এবং ব্যথিত হয়েছি।

তিনি আরো বলেন, র‍্যাব একটি এলিট  ফোর্স হিসেবে কাজ করছে, সাম্প্রতিক জঙ্গিবাদ দমনে এই বাহিনী অত্যন্ত পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে কাজ করছে।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র আজ মানবাধিকার নিয়ে কথা বলছে, আমরা তাদের দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আগে পর্যবেক্ষণের অনুরোধ করছি।

কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি বৈষম্য এবং নিপীড়ন প্রশ্নে খোদ জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশিত হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন করে বলেন,  মেক্সিকো-ইউএসএ সীমান্তে কতজন মারা গেছে?  যেখানে বন্দুক হামলায় প্রতি বছর লাখো মানুষ মারা যায়, নির্বাচনে হেরে যে দেশের ক্যাপিটাল হিল দখল করতে গিয়ে পাঁচ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা বিশ্ববাসী লক্ষ করেছে। বিশ্ববাসী দেখেছেন মার্কিন গণতন্ত্রের স্বরূপ ও তাদের মানবাধিকারের চেহারা।

বঙ্গবন্ধুর কোনও কোনও খুনি এখনও আমেরিকায় লুকিয়ে আছে, যুদ্ধাপরাধীরাও সে দেশে পালিয়ে আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সিনেটর অব লেবার রবার্ট রেইচ এক টুইট বার্তায় বিশ্বকে জানিয়েছিলেন, শুধু ২০২০ সালে সে দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ৯৮৪টি।

২০১৫ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ৬ হাজার ৬০০ জনের। প্রতিবছর সেখানে প্রায় ১ হাজার মানুষ বিনা বিচারে মারা যায়, যা বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায় বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, যাদের দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাধারণ মানুষ দিনের পর দিন বিভিন্ন সিটিতে রাস্তায় নামে, তাদের অন্য দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কোনও ধরনের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।

আমরা নিশ্চিত এ সিদ্ধান্তের গভীরে বাংলাদেশবিরোধী কিছু ব্যক্তি ও অপশক্তির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

Leave A Reply

Your email address will not be published.