বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছনার পর চায়ের দাওয়াত

0 193

মহান বিজয় দিবসের দিন সকালে বুড়িচংয়ের শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে গেলে ফরিদ উদ্দিনকে জামায়াতের লোক আখ্যা দিয়ে গালমন্দ করতে থাকেন মোমেন। প্রতিবাদ করতে গেলে ফরিদকে মারধরের হুমকিও দেন। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আখলাক হায়দার তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন।

মোমেন বলেন, ‘দেশে কত বড় বড় ঘটনা হইল। জামালপুরের ডিসির ঘটনা, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদের ঘটনা, তনু হত্যা, সাগর-রুনিরে মারল, কিছু হইছেনি? আমার কি অইবো? ভুল করছি আবার মিল্লা যামু।’

‘তুই জামায়াতের লোক, তুই কিয়ারে ফুল দিতে আইলি, তোর মতো মুক্তিযোদ্ধকে থাপড়াইয়া দাঁত ফেলায় দিব।’

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে এভাবেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিনকে হুমকি দিয়েছিলেন কুমিল্লার বুড়িচংয়ের আব্দুল মোমেন। এ ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

আব্দুল মোমেন নিজেকে স্থানীয় সাংবাদিক বলে পরিচয় দেন। এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি জানান, চায়ের দাওয়াতে বিষয়টি মিটমাট করা হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘বিজয় দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে যাই। এ সময় মোমেন আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকে আমরা কেউ এক নম্বর মুক্তিযোদ্ধা, কেউ দুই নম্বর মুক্তিযোদ্ধা। আমি যখন বলি এ কেমন কথা, তখনই মোমেন আমাকে মারতে তেড়ে আসে। পরে আমাকে গালাগাল দেয়।’

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. শাহজাহান বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে ডিসির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। ওই ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে মোমেন বলেন, ‘এটা কোনো বড় বিষয় না। উপজেলা চেয়ারম্যানকে বলছি, আমরা দুইজনরে আইন্না চা খাওয়াইয়া মিলাইয়া দিব।

Leave A Reply

Your email address will not be published.