সেই ভেরোনিকাকে দিয়েই বুস্টার ডোজে বাংলাদেশ
প্রথমেই বুস্টার ডোজ দেয়া হয় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে। এরপর ষাটোর্ধ্ব শতাধিক ব্যক্তিকে এই ডোজ দেয়া হয়। এর মধ্যে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও শুরু হলো করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ। এই ধাপও শুরু হলো দেশে প্রথম কোভিড-১৯ টিকা নেয়া কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে দিয়ে।
রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএসএ) প্রতিষ্ঠানে রোববার দুপুর ১২টার দিকে টিকার বুস্টার ডোজ দেয়ার কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
প্রথমেই এই ডোজ দেয়া হয় রুনু ভেরোনিকাকে। এরপর ষাটোর্ধ্ব শতাধিক ব্যক্তিকে এই ডোজ দেয়া হয়। এর মধ্যে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
বুস্টার ডোজ নেয়া সবাই করোনা মোকাবিলায় সম্মুখসারির যোদ্ধা চিকিৎসক, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গণমাধ্যমকর্মী।
সরকার থেকে বলা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে বুস্টার ডোজের আওতা বাড়ানো হবে। শুরুতেই এই ডোজ দেয়া হবে যারা বেশি ঝুঁকিতে আছেন তাদের। অর্থাৎ বয়স্কদের। দেশে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে।
বুস্টার ডোজ শুরুর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, মডার্নাসহ বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন দিয়েছি, কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রোটোকল অনুযায়ী এক্ষেত্রে সবাইকে ফাইজারের টিকা দেয়া হবে। অ্যাপসের কাজ শেষ হলে এসএমসের মাধ্যমে যে যে কেন্দ্রে টিকা নিয়েছেন, সে কেন্দ্রেই বুস্টার যাতে নিতে পারেন সবাই, সেই কাজ চলছে।’
জাহিদ মালেকের দাবি, টিকার ফলে দেশ নিরাপদে আছে। মৃত্যুর সংখ্যা এক ডিজিটেই আছে। গতকাল এক শতাংশের দিকে এসেছে, যা এত জনবহুল দেশে খুবই বিরল।
তিনি বলেন, ‘বুস্টার ডোজ সংক্রান্ত সুরক্ষা অ্যাপের আপডেট কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি। তবে এই মুহূর্তে টিকা কার্ডের মাধ্যমে চলবে। সেই সঙ্গে স্বাভাবিক টিকা কার্যক্রমও চলমান থাকবে।’