৮ চিকিৎসকসহ ১১ জনকে শোকজ, ১ জনকে অব্যাহতির নির্দেশ মাশরাফির

0 183

নড়াইল সদর হাসপাতালে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার নির্দেশে ৮ জন চিকিৎসক ও ২ জন মেডিকেল প্যাথলজিস্ট ও ১ জন কর্মচারীকে শোকজ করা হয়েছে। এছাড়া রোগীদের খাবার কম দেওয়ায় আউটসোর্সিংয়ে ১ জন কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে অকস্মাৎ উপস্থিত হয়ে হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের না দেখে রোগীদের ওয়ার্ডে প্রবেশ করেন। এ সময় রোগীরা তার কাছে খাদ্যে অনিয়ম, প্রয়োজনীয় ওষুধ না দেওয়া, চিকিৎসকরা ঠিকমত রোগীদের না দেখাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন। শুক্রবার রাতে হাসপাতালের মাত্র ৩ জন রোগীকে খাবার দেওয়া হয়েছে বলেও রোগীরা জানান।

এছাড়া চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সময়মত হাজির না হওয়া, ছুটি না নিয়ে চিকিৎসক-কর্মচারীদের অফিসে না আসাসহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পান এমপি মাশরাফি।

এসব অভিযোগের বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আসাদ উজ্জামান মুন্সীর নিকট জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি মানতে নারাজ হন। অবশেষে মাশরাফি চ্যালেঞ্জ করলে হেরে যান তত্ত্বাবধায়ক।

মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে গরিব মানুষ চিকিৎসার জন্য আসে হাসপাতালে। অথচ তাদের খাবার ও ওষুধ দেওয়া হয় না। এমনকি ঠিকমত অফিস করেন না হাসপাতালের চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিকালের মধ্যে জানানোর জন্য হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দেন সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা।

এসব বিষয়ে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আসাদ-উজ্জামান মুন্সী বলেন, শনিবার সকাল ৯টার পরে আসায় ৮ জন চিকিৎসক ও ২ জন মেডিকেল প্যাথলজিস্টকে শোকজ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু ওয়ার্ডে গত শুক্রবার রাতে ১৭ জনের জায়গায় ৩ জনকে খাবার দেওয়ায় ডায়েটের দায়িত্বে থাকা ১ জন কর্মচারীকে শোকজ করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত অভিযোগে আউটসোর্সিং-এর ১ জন কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.