করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ডেলমিক্রন’
বিশ্বজুড়ে এখন আতঙ্ক ছড়িয়ে যাচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এই ভ্যারিয়ন্ট সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এরইমধ্যে ওমিক্রন আর ডেল্টা আতঙ্কের মাঝেই আবিষ্কৃত হল করোনার আরও এক নতুন ধরন। ওমিক্রনের পর এবার ত্রাস সৃষ্টি করতে আসছে ডেলমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট।
জানা গেছে, আমেরিকা এবং ইউরোপে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে ডেলমিক্রন। ডেল্টা এবং ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের মিলিত করোনাভাইরাসের রূপটিই হল ডেলমিক্রন। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের শরীরেই পরপর আক্রমণ করছে ডেল্টা ও ওমিক্রন। তাই যে সমস্ত এলাকায় টিকাকরণের হার তুলনামূলক কম, সেখানেই ডেলমিক্রনের প্রভাব বেশি। ভাইরাসের এই নতুন প্রজাতি যে আরও কয়েকগুণ বেশি সংক্রামক হতে চলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে মহারাষ্ট্রের কোভিড-১৯ টাস্কফোর্সের সদস্য ডা. শশাঙ্ক যোশী জানান, এটি ভাইরাসের নতুন কোনো প্রজাতি নয়। আসলে ব্রিটেন ও আমেরিকার একাধিক জায়গায় একইসঙ্গে করোনার ডেল্টা ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ চলছে। সুনামির মতো ছড়িয়ে পড়া দুটি ভাইরাসের দাপট একসঙ্গে বোঝাতেই ডেল্টা ও ওমিক্রনকে জুড়ে ডেলমিক্রন শব্দ জন্ম নিয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে, দেশটিতে নতুন করে সংক্রমিতদের মধ্যে ৭৩ শতাংশের শরীরেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হচ্ছে। তবে গত মাসে করোনায় আক্রান্তদের ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশের দেহে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছিল।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস সতর্ক করেছিলেন, বুস্টার ডোজের উপর এখনই বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আপাতত দু’টি করে ডোজ দিয়ে প্রতিটি দেশকেই ২০২২ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ নাগরিককে টিকাদান করতে হবে। তার সেই বক্তব্য ডেলমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে কতটা কার্যকরী হবে এখনও জানা যায়নি।