কাবা শরিফের গিলাফ সেলাই করলেন সানা খান
ইসলামের বিধি-বিধান অনুযায়ী জীবনযাপনের জন্য সানা খান বেছে নিয়েছেন ত্যাগের জীবন। যে জীবনকে ধারণ করেছেন, সেখানে ঝলমলে দুনিয়ার জীবনযাপনের কোনো মূল্য নেই। তাইতো নিজেকে সেভাবেই গুছিয়ে নিয়েছেন তিনি। নিজের জীবনযাপনের জন্য বেছে নিয়েছেন জীবনসঙ্গী।
এর পর ধর্মেকর্মেই মন দিয়েছেন সাবেক এই অভিনেত্রী। বিয়ের পর প্রথমবারের মতো স্বামীকে নিয়ে ওমরাহ করতে গেছেন তিনি। ওমরাহ পালনের ফাঁকে কাবা শরীফের কালো গিলাফ সেলাইয়ের কাজে অংশ নেওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন সানা খান। নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এই তথ্য জানিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি।
ভিডিওর ক্যাপশনে সানা খান লিখেছেন, ‘আমি স্বপ্নেও কখনও ভাবিনি যে, আল্লাহতায়ালা আমার জন্য এতবড় সৌভাগ্য লিখে রেখেছেন যে, আমি কাবা শরীফের গিলাফ সেলাইয়ের মহান কাজে অংশ নিতে পারবো। আল্লাহ অনেক দয়ালু।’ বিরল এ কাজের সুযোগ করে দেওয়ায় সৌদি সরকারকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। এছাড়া স্বামী মুফতি আনাসকেও স্মরণ করেন সানা খান।
প্রসঙ্গত সানা খান ‘ওয়াজাহ তুম হো’, ‘জয় হো’সহ একাধিক বলিউড সিনেমায় অভিনয় করে সিনেপ্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। অনেক আঞ্চলিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন সানা।
সানা খান এমন একজনকে নিজের সারা জীবনের সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন, যিনি একজন ধার্মিক মানুষ। ইসলামের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন। পড়াশোনা করেছেন ইসলাম নিয়ে। জীবনযাপন করেন ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক। মাওলানা মুফতি আনাস ভারতের গুজরাটের বাসিন্দা।
বিয়ের পর ভালোবাসায় ডুবে যান সানা। ইনস্টাগ্রামে স্বামীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে লিখলেন, ‘কখনো ভাবিনি হালাল ভালোবাসা এত সুন্দর হতে পারে! তোমায় বিয়ে করার পর অনুভব করেছি। সব হালাল কাজেই পুণ্য হয়।’
গত বছরের অক্টোবর মাসে সবাইকে চমকে দিয়ে বলিউডকে বিদায় জানিয়েছিলেন সাবেক অভিনেত্রী সানা খান। সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন, বিনোদন জগৎ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। কারণ তিনি ইসলামের কাছে সমর্পণ করতে চান নিজেকে৷ এর পরই এক মাসের মধ্যে গুজরাটের হিরে ব্যবসায়ী মুফতি আনাসের সঙ্গে নিকাহর কাজটি সারেন তিনি
প্রসংগত, গত ২০ নভেম্বর আনাস সাঈদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন সালমান খানের এককালের সহ-অভিনেত্রী। বিয়ের পরেই নিজের নামে বদল এনে রাখেন সানা খান।