২০০ স্থান থেকে আগুনের সংবাদ ৯৯৯ ও ফায়ার সার্ভিসে

0 211

আতশবাজি ও ফানুস উড়িয়ে পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করে দেশবাসি।রাত ১২ টা বাজতেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফোটানো হয় পটকা বা আতশবাজি। ওড়ানো হয় ফানুস।আকাশে ‍উড়তে থাকা ফানুসের আগুন ছিটকে পড়ে বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে।এতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগে বলে জানা যায়।সারাদেশ থেকে প্রায় ২০০ স্থানে আগুন লাগার সংবাদ আসে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুম এবং জরুরি সেবা ৯৯৯ এর কাছে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাজধানীর বেশ কিছু স্থানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। সব স্থানে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।

আজ শনিবার (০১ জানুয়ারি) দিনগত রাতে ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা মো. রায়হান বলেন, ঢাকাসহ আশপাশে যেসব আগুন লেগেছিল সবগুলো আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আগুনগুলো বড় না হওয়ায় তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। এছাড়া উত্তরা এলাকায় একটি গাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিলো।

এর আগে ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন জানান, মধ্যরাতে রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মাদপুর, মিরপুর, তেজগাঁও, খিলগাঁও, ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, সূত্রাপুর, লালবাগ, রায়েরবাগ, কেরানীগঞ্জসহ আরও কিছু স্থানের বিভিন্ন জায়গায় বাসার ছাদ ও বিদ্যুতের তারে আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। প্রতিটি স্থানে ফায়ার সার্ভিসের ২টি করে ইউনিট পাঠানো হয়।

রাতে ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম থেকে আরও বলা হয়, একাধিক স্থানে আগুন লাগার খবর পেয়েছি আমরা। সেগুলো আমরা তালিকাভুক্ত করেছি। এরমধ্যে সুনির্দিষ্ট করে বলতে গেলে মাতুয়াইল স্কুল রোডের একটি বাড়ির ছাদে আগুন লেগেছিলো। এছাড়া ধোলাইপাড় বড় মসজিদের পাশে একটি ভবনের ছাদেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, আতশবাজি থামানোর বিষয় না। হাত দিয়ে আটকে রাখা যায় না। আতশবাজি না ফোটাতে গতকালও (বৃহস্পতিবার) আমি নগরবাসীকে অনুরোধ করেছি। মূলত এসব আতশবাজি ফোটায় একেবারে টিনেজ ছেলেমেয়েরা।

তিনি আরও জানান, নগরবাসীকে অনুরোধ করেছিলাম- অন্তত বয়স্ক মানুষ ও অসুস্থ মানুষের কথা বিবেচনা করে হলেও যেন এটি সীমিত রাখা হয়। আমি আশা করবো, যারা এই আতশবাজি ফোটাচ্ছে তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।

এসব অগ্নিকাণ্ডে নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট। তবে কোনো আগুনই ভয়াবহ আকার ধারণ করেনি।

থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন ঘিরে পটকা বা আতশবাজি ফোটানোয় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। কিন্তু তা অমান্য করেই পুরোনো বছর বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করতে দেখা গেছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.