গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী, কমছে দোকান-শপিংমল খোলার সময়

0 593

দেশজুড়ে বেড়েছে করোনার প্রভাব। এদিকে আবার নতুন করে বাসা বেধেছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। দেশের মানুষকে ওমিক্রনের হাত থেকে রক্ষা করতে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

‘ওমিক্রন’ মোকাবিলায় আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলাচলের সিদ্ধান্ত আসছে। একই সঙ্গে কমছে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার সময়।

আজ মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশেও ‘ওমিক্রন’ আক্রান্ত কিছু রোগী পাওয়া গেছে। আমরা লক্ষ্য করছি, সপ্তাহ খানেক ধরে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। গত ১০ দিন আগেও এটি ২০০ থেকে ২৫০-এর মধ্যেই ছিল। গতকালকে প্রায় পৌনে ৭০০ হয়ে গেছে। আজকের সংখ্যা এখনো পাইনি।

যেভাবে বাড়ছে এটা আশঙ্কাজনক মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ওইসব চিন্তাভাবনা করেই মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে গতকালই মিটিং হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব সেই সভা আহ্বান করেছিলেন। আমি ছিলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। সচিবরাও ছিলেন।

তিনি বলেন, বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, এসপি, সিভিল সার্জনসহ অন্যান্যরা যুক্ত ছিলেন। উনাদেরকে বেশকিছু পরামর্শ ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো এখনো ফাইনাল না, মন্ত্রিপরিষদ থেকে ফাইনাল চিঠিটা যাবে।

তিনি বলেন, ফাইনাল হওয়ার আগে যে আলোচনা ও প্রস্তাবনা হয়েছে সেগুলো গতকালকেও বলেছি। করোনা এবং ওমিক্রনকে রুখতে হবে। সে কারণেই এ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘করোনা ও ওমিক্রনকে রুখতে হবে। সেজন্য কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। যানবাহনে মাস্ক ছাড়া চলাচল করা যাবে না। যদি কেউ বাস, ট্রেন ও লঞ্চে চলাচল করে তাহলে জরিমানার মধ্যে পড়বে। এটার একটা সিদ্ধান্ত মোটামুটি হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বাস ও অন্যান্য যানবাহনে যাত্রী সংখ্যা অর্ধেক পরিবহনের প্রস্তাব করা হয়েছে। রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে মাস্ক পরে যেতে হবে। মাস্ক ছাড়া গেলে দোকানদারের জরিমানা হবে, যে যাবে তারও জরিমানা হতে পারে।’

দোকান-মার্কেট খোলা রাখার সময়সীমা কমিয়ে আনা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাত ১০টার পরিবর্তে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। এটাও প্রস্তাব করা হয়েছে।’

টিকা নেওয়ার জন্য তাগাদা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে খেতে হলে মাস্ক পরে যেতে হবে। হয়তো খাওয়ার সময় মাস্ক খুলে খাবে, তারপর আবার মাস্ক পরে চলে আসবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্কুল চলবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। যদি সংক্রমণ বৃদ্ধি পায় তাহলে স্কুলের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে, স্কুল চালিয়ে রাখা যাবে কিনা।

১৫ দিন পর এসব বিষয় বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমি প্রস্তাব করেছি ১৫ দিন নয়, সাতদিন করার জন্য। সেটা মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বলা হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.