নরসিংদীতে হাজার টাকার বিশাল ভাপা পিঠা
শীতসন্ধ্যায় ক্রেতার পিঠেপুলির আবদার মেটাতে তৈরি হচ্ছে বিশাল এক ভাপা। পিঠা তো অনেকেই বানান। তবে মালেক মিয়ার মতো কয় জন? না, শুধু আকার কিংবা পিঠার উপাদান বৈচিত্র্যে নয়। মালেক মিয়া তার দোকানের তিন চতুর্থাংশ আয় বিলিয়ে দেন এতিমখানা, মসজিদ ও মাদরাসায়।
নরসিংদী সদরের জেলখানা মোড় ওভারব্রিজের নিচে ভাপা পিঠা বিক্রি করেন মালেক মিয়া। স্থানীয়দের কাছে তার দোকান পরিচিত মালেক মামার পিঠার দোকান নামে। দোকানটি তার পিঠার আকার ও উপাদানের ভিন্নতা দিয়ে এরইমাঝে কেড়েছেন ভোজনরসিকদের মনোযোগ।
নরসিংদী সদরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভেলানগর জেলখানা মোড় ওভারব্রিজের নিচে ছোট পিঠার দোকান মালেক মিয়ার। দুই জোড়া মাটির চুলায় বসানো বিশেষ পাতিলের ভাপ উড়ছে। সেই ভাপেই তৈরি হচ্ছে পিঠা। আতপ চালের গুঁড়া, নারিকেল কোরা, গুড়, খেজুরসহ হরেক রকম বাদাম দিয়ে নানা উপকরণ যোগ হচ্ছে একে একে। আকারভেদে প্রতিটি পিঠার দাম ২০ টাকা থেকে ১ হাজার পর্যন্ত। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে পিঠা কিনছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা আগ্রহী ক্রেতারা।
শীতের সন্ধ্যার পর ৩ ঘণ্টায় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার পিঠা বেচাকেনা হয় দোকানটিতে। বছরের অন্যসময়ে সকালে রিকশা ও রাতে পানের দোকান চালান মালেক মিয়া।