ক্যাপসিকাম খাওয়ার উপকারিতা
চাইনিজ খাবারে ক্যাপসিকামের প্রচলন নতুন নয়। তবে গত কয়েক বছরে ঘরোয়া অনেক ধরনের রান্নাতেও এই সবজিটি ব্যবহৃত হচ্ছে। শুধু সবুজ নয়, লাল-হলুদ নানা বাহারি রঙের ক্যাপসিকামকে অনেকে চেনেন বেল পেপার নামে। ক্যাপসিকাম বা বেলপেপার বললে মূলত স্বাদ ও সৌন্দর্যের কথা মাথায় আসে। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, শুধু স্বাদ বা সৌন্দর্য বৃদ্ধিই নয়, স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসেবেও ক্যাপসিকামের তুলনা নেই। ক্যাপসিকাম খেলে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।
- ক্যাপসিকামে ভিটামিন এ পাওয়া যায়, যা চোখ ভালো রাখতে অত্যন্ত কার্যকর। বয়সজনিত দৃষ্টিশক্তি হ্রাস প্রতিরোধ করতেও এর জুড়ি নেই।
- লাল ক্যাপসিকাম হজমের ক্ষমতা বাড়ায়। যা পরোক্ষ ভাবে দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- ক্যাপসিকামে ভিটামিন সি ও কোলাজেন পাওয়া যায়। এসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ত্বক ও অস্থি সন্ধি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- ক্যাপসিকামে ক্যাপসিসিন নামের এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি শরীরে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- চুল পড়ার সমস্যা কমাতেও বেশ কার্যকর ক্যাপসিকাম। ক্যাপসিকামে থাকা কোলাজেন চুলের গোড়া ভাল রাখতে খুবই উপযোগী।
- লাল ক্যাপসিকাম থার্মোজেনেসিসকে কার্যকরী করে মেটাবোলিজম হার বৃদ্ধি করে। এরা অন্যান্য মরিচের মতো হার্ট ও ব্লাড প্রেশার বৃদ্ধি না করেই মেটাবোলিজম হার বাড়াতে পারে।
- এন্টি অক্সিডেন্ট ও ইনফ্লেমেটরি নিউট্রিয়েন্ট বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্যান্সার রোধ করে থাকে৷এটি সাস্থ্যের জন্য উপকারী সালফার সরবরাহ করে এবংএনজাইমের মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার ও খাদ্যনালীর ক্যান্সার রোধ করে৷ক্যারোটিনয়েড লাইকোপিন প্রোস্টেট ও মূত্রথলির এবং গলদেশ ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার রোধে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
- যাদের আয়রনের ঘাটতি রয়েছে,তাদের প্রতিদিন লাল ক্যাপসিকাম খাওয়া উচিত। এটি প্রায় ৩০০% ভিটামিন-সি সরবারহ করে যা আয়রন তৈরিতে ভূমিকা রাখে ৷
- ক্যাপসিকামের জুস গ্যাস্ট্রুইনটেস্টাইনাল বিশৃঙ্খলা দূর করে। যেমন- আলসার, ডায়রিয়া, বদহজম দূর করে। এটি শ্বাসনালীর সমস্যাও কমায়, যেমন- এজমা, এমফেসেমা, ফুসফুসের আক্রমন। এর জুস পান নাকে রক্তক্ষরণ ও গলাব্যাথা কমায়।
- লাল ক্যাপসিকাম ৫-৬ মিনিট সিদ্ধ করে ঠান্ডা করে নিতে হবে। তারপর সেই পানি তুলার সাহায্যে মাথার ত্বকে দিতে হবে। ১০/১৫ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এটা চুলের বৃদ্ধিতে খুবই উপকারী।