করোনাকালীন পরিস্থিতিতে নিরলস প্রচেষ্টায় এগিয়ে ৩নারী উদ্যোক্তা
দীপ্ত পদচারণায় সমাজের নানা প্রতিবন্ধকতা কে এড়িয়ে পরিশ্রম এবং মেধাকে কাজে লাগিয়ে বর্তমানে নারীরা জয়ী হতে শিখেছেন। উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ সহ স্বাধীন উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলছেন নিজেকেই। বিশেষ করে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে অনেকে কর্মসংস্থান হারালেও অনেকেরই আশীর্বাদস্বরূপ বদলে গেছে ভাগ্য। তেমনি তিনজন নারী উদ্যোক্তা করোনা কালীন পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে নিরলস প্রচেষ্টায় এগিয়ে চলেছেন।
ঐতিহ্যবাহী বেনারসি পাটের ওড়না, দেশী কম্বল,কাঠের গয়না, হ্যান্ডস পেইন্টিং শাল, পাঞ্জাবি, ও মাক্স, নকশিকাঁথা, কম্পলটার, জামদানি এবং এপ্লিকের নিজেদের তৈরি পণ্যের মাধ্যমে। পরিচিতি লাভের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন তারা।
নিজেদের ফেসবুক পেজে অনলাইনে পণ্য গুলো বিক্রি ছাড়াও রংপুর বিসিক কার্যালয় এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে, বিসিক উদ্যোক্তা মেলায় এই প্রথম নিজেদের তৈরি রং বেরঙের তাক লাগানো বাহারি পণ্য তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছেন তারা।
স্টলে ক্রেতাদের সাড়া মিলছে এবং বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। করোনা মহামারীর পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে এই তিনজন নারী উদ্যোক্তার মত অনেক ধরনের ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস ও প্রত্যয় দেখিয়ে নিজেদের তৈরি পণ্যের বাসায় বসে থেকেই কর্মসংস্থানের সুযোগ করতে সক্ষম হয়েছে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে টিকে থাকার লড়াইয়ে সফলতার সঙ্গে এই নারীরা হয়ে উঠেছেন উদ্যোক্তা। উচ্চতর শিক্ষা অর্জন করে সরকারি বা বেসরকারি কোন চাকুরীর দিকে না জুকে সংসারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েও করোনার সময় ঘুরে দাঁড়িয়েছেন শোরুমের ড্রিম সব নারী উদ্যোক্তা নুসরাত জাহান।
ছিলনা কোন উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন। করোনাকালীন ছুটি কে কাজে লাগিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি নিজের সুপ্তপ্রতিভাকে বিকশিত করতে এবং সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে চান শিক্ষার্থী নারী উদ্যোক্তা খন্দকার নাহার।
করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখিয়ে দিয়েছেন, নারীরা সুদু রান্নাবান্না পারেন তা নয়, প্রয়োজনে নিজেকে গড়ে তুলতে অর্থনৈতিক হালও ধরতে পারেন।
ছিলনা কোন ব্যবসায়ীক পরিকল্পনা, ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে সাহসীকতার পরিচয় দিয়েছেন, রাঙা বউ নারী উদ্যোক্তা আফসানা পারভিন নুপুর।
সমাজে নারীরা বরাবরই অবহেলিত উচ্ছতর ডিগ্রি নিলেও অধিকাংশ নারীর ঠিকানা যেনো রান্না ঘর।
পুরুষ প্রধান এই সমাজে ঘর থেকে বের হতে হলে বাবা, ভাই কিংবা স্বামীর অনুমতি নিতে হয় নারীদের। তারপরেও রয়েছে বাঁধা নিষেধ। এই বাধা বিপত্তিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে এগিয়ে চলেছে অসংখ্য নারী উদ্যোক্তা।