করোনা: রেড জোনে আরও ১০ জেলা

0 167

করোনা এবং এর ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের উচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হারের কারণে আরও ১০টি জেলাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। জেলাগুলোতে সংক্রমণের হার অন্তত ১০ শতাংশ। ইতোমধ্যে, আরও ২৬টি জেলাকে ‘ইয়েলো জোন’ বা মধ্য স্তরের ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এর আগে ১২ জানুয়ারি, ১০ শতাংশের বেশি সংক্রমণ হারের জন্য রাজধানী ঢাকা ও রাঙ্গামাটিকে রেড জোন এবং যশোর, রাজশাহী, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নাটোর, রংপুরকে ইয়েলো জোন হিসেবে চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য পরিষেবা অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস)।

সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন রেড জোন আছে মোট ১২টি এবং ইয়েলো জোন আছে ৩১টি। অন্যদিকে ২১টি জেলাকে ‘গ্রিন জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইয়েলো জোনে থাকা জেলাগুলোতে সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে। গ্রিন জোনে এই হার ৫ শতাংশের নিচে।

গত এক সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সাত দিনে দেশজুড়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৪০৫ জন, যা পূর্ববর্তী সাত দিনের (৩ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি) চেয়ে ২৩ হাজার ৯৩১ জন বেশি। এই সময়ে শতাংশ হিসেবে শনাক্ত বেড়েছে ২২৮ দশমিক ৪৮।

করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এক সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের। যা পূর্ববর্তী সপ্তাহের (৩ জানুয়ারি-৯ জানুয়ারি) চেয়ে ৩৭ জন বেশি। এই সময়ে শতাংশ হিসেবে মৃত্যু বেড়েছে ১৮৫%।

করোনার সংক্রমণের মাত্রা বিবেচনায় নিয়ে নতুন করে ১০টি লাল তালিকাভুক্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জেলাগুলোতে সংক্রমণের হার অন্তত ১০ শতাংশ।

লাল তালিকাভুক্ত জেলাগুলো হলো গাজীপুর, রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, বগুড়া, দিনাজপুর, চট্টগ্রাম, লালমনরিহাট, খাগড়াছড়ি, পঞ্চগড়। আগের দুইটি ঢাকা ও রাঙ্গামাটি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা যায়, রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের হার ২৮ দশমিক ১১ শতাংশ। রাঙ্গামাটিতে করোনা সংক্রমণের হার ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ।

এ ছাড়া, গাজীপুর করোনা সংক্রমণের হার ১০ দশমিক ৪৯, রাজশাহী ১৪.৭৪ শতাংশ, যশোর ১১ দশমিক ২১, কুষ্টিয়া ১১.৩৮ শতাংশ, বগুড়া ১১.৮৪ শতাংশ, দিনাজপুর ১১.২৬ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৮ দশমিক ৪৮, লালমনরিহাটে ১০ দশমিক ৭১, খাগড়াছড়ি ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ, পঞ্চগড় ১০ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে থাকা ৩২ জেলার শনাক্তের হার অন্তত ৫ শতাংশ।

জেলাগুলো হলো সিলেট, ফেনী, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, শরীয়তপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, রংপুর, জামালপুর, নওগাঁ, ঝিনাইদাহ, নাটোর, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বাগেরহাট, মাগুরা, নড়াইল, পটুয়াখালী, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, শেরপুর, ঝালকাঠি ও ঠাকুরগাঁও।

এ ছাড়া, এখনও করোনা থেকে ঝুঁকিমুক্ত আছে ১৬ জেলা। এই জেলাগুলোতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে।

ঝুঁকিমুক্ত জেলাগুলো হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, ভোলা, নেত্রকোনা, গাইবান্ধা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বরগুনা, চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী, মেহেরপুর।

গত বছর করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকাকে রেড জোন চিহ্নিত করে জোনভিত্তিক লকডাউন করার পরিকল্পনা করেছিল সরকার।

Leave A Reply

Your email address will not be published.