ফটিকছড়িতে দুই ছাত্রীকে চাপা দেয়া সেই ড্রাইভার গ্রেপ্তার
গত ৯ ফেব্রুয়ারি ফটিকছড়িতে দুই স্কুল শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান আসামি চাঁদের গাড়ির ড্রাইভার মোহাম্মদ আলাউদ্দিনকে (২৬) ঘটনার ৫ দিনের মাথায় গ্রেপ্তার করেছে ফটিকছড়ি থানা পুলিশ।
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম শহরের বায়েজিদ থানাধীন এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনা ঘটার পর সাধারণ জনগণ থেকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা যে তথ্য দিয়েছিল তার পুরো ভিন্ন তথ্য দিল আসামি আলাউদ্দিন।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফটিকছড়ি থানায় সাংবাদিকদের দেয়া তথ্যমতে আসামি আলাউদ্দিন বলেন, আমি সড়কের উত্তরপাস দিয়ে ধানবোঝাই গাড়িটি নিয়ে আসছিলাম। এমন সময়ে একটি মোটরসাইকেলকে সিগন্যাল দেয় পুলিশ সার্জেন্ট। মোটরসাইকেল চালকটি না দাড়িয়ে দ্রুত পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে আমার সামনে দিয়ে।
তাকে বাঁচাতে গিয়ে আমি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে গাড়ি উল্টে গিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর পরে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসামি আলাউদ্দিন বলেন, আমি গাড়ি চালাই ৭ বছর ধরে তবে আমার কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। এজন্য প্রতিবছর আমাদের নাজিরহাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে টোকেন খরচ ৪ হাজার টাকা করে দিতে হয়।
মো. আলাউদ্দিন (২৬) ফটিকছড়ি উপজেলা নারায়ণ হাট ইউপির ৭নং ওয়ার্ডস্থ শৈলকুপা গ্রামের হবি চেয়ারম্যান বাড়ির রুহুল আমিনের (তনু ফকির) ছেলে।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, দুই শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় মিশু আক্তারের চাচা বাদী হয়ে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা দায়ের করে। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার প্রধাম আসামি আলাউদ্দিন কে গ্রেপ্তার করেছি। থানায় প্রাথমিক কাজ শেষ করে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে ঘটনার পরে নিহত মিশু আক্তারের চাচা মোহাম্মদ আইয়ুব আলী (৪৩) সড়ক পরিবহন আইনে মামলা দায়ের করে।