সাবেক ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কক্সবাজরের টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে। তবে একই মামলায় তার স্ত্রী পলাতক চুমকির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ করবেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আসামিপক্ষের আবেদনে চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ শুনানি পিছিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন দিন ধার্য করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদুল হক জানান, আদালতে প্রদীপ কুমার দাশের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে প্রদীপ কুমার দাশকে চট্টগ্রাম আদালতে নিয়ে আসা হয়।
এর আগে ২৬ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি হয়। ২৯ জুন দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ ও মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ কুমার দাশের অবৈধ সম্পদ দেখভালের দায়িত্ব কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে দেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটির এজাহারে উল্লিখিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।
২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদি হয়ে প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় প্রদীপের সঙ্গে তার স্ত্রী চুমকিকেও আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।