রাউজানে প্রেমিকাকে খুন করে প্রেমিকার আত্মহত্যার ঘটনায় ২ মামলা

0 175

চট্টগ্রামের রাউজানে প্রেমিকা অন্বেষা চৌধুরী আশাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর প্রেমিক জয় বড়ুয়া আত্মহত্যার ঘটনায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। জয় বড়ুয়ার বাবা নিলেন্দু বড়ুয়া নিলু অপমৃত্যু মামলা করেছেন। অপরদিকে অন্বেষা চৌধুরী আশার বাবা রনজিত চৌধুরী বাবলু হত্যা মামলা করেছেন। এ মামলায় জয় বড়ুয়াকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১ মার্চ) রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মামলা তদন্তে করে দেখা হচ্ছে। এর সঙ্গে আর কারও যোগসূত্র আছে কি-না তদন্তের পর জানা যাবে।

পুলিশ জানায়, আশা টিউশনি থেকে বের হয়ে জয়ের সঙ্গে দেখা করতে সুব্রত বড়ুয়ার ঘরে যান। সুব্রতের পরিবার চট্টগ্রাম শহরে বসবাস করায় ওই খালি ঘরে জয় থাকতেন। ওই ঘর থেকেই রাত ১১টার দিকে জয় ও আশার লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের ধারণা, তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছে। একপর্যায়ে ওড়না দিয়ে আশার শ্বাসরোধ করে ছুরিকাঘাতে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। এরপর জয় আত্মহত্যা করে।

এর আগে রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে পাহাড়তলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহামুনি ভগবান দারোগার বাড়িতে প্রেমিকা অন্বেষা চৌধুরী আশাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর প্রেমিক জয় বড়ুয়া আত্মহত্যা করে। জয় বড়ুয়া (২৬) ওই এলাকার নিলেন্দু বড়ুয়া নিলুর ছেলে। অন্বেষা চৌধুরী আশা (২০) স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ড বড়ুয়া পাড়ার উদয়ন চৌধুরী বাড়ির রণজিত চৌধুরী বাবলুর মেয়ে। তিনি নোয়াপাড়া ডিগ্রি কলেজের স্নাতকের ছাত্রী ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অন্বেষা চৌধুরী আশার সঙ্গে জয় বড়ুয়ার দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি আশার সঙ্গে ফ্রান্স প্রবাসী এক ছেলের আগামী ১০ মার্চ বিয়ের তারিখ ঠিক হয়। জয় চায়ের দোকানের কর্মচারী ছিলেন।

গত রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে সুব্রত বড়ুয়ার ফাঁকা বাড়িতে আশাকে ডেকে আনেন প্রেমিক জয়। মাঝেমধ্যে সেই বাড়িতে থাকতেন জয়। রাতে জয়কে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। পরে রাত সোয়া ৮টার দিকে জয়ের বোন, জেঠাতো ভাই ও বন্ধু ওই ঘরের তালা ভেঙে ঢোকেন। এই সময় জয় বড়ুয়াকে গলায় শার্ট দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝোলানো অবস্থায় এবং আশাকে গলায় ওড়না পেঁচানো ও গলায় ছুরি ঢোকানোসহ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখতে পান। পরে তারা দা দিয়ে শার্ট কেটে জয়ের মরদেহ নিচে নামান।

স্থানীয়রা জানায়, আগামী ১০ মার্চ ফ্রান্স প্রবাসী রাঙ্গুনিয়া উপজেলার এক যুবকের সঙ্গে আশার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এ উপলক্ষে আগামী ৭ মার্চ তার আশীর্বাদ অনুষ্ঠান ঠিক করা হয়েছিল।

Leave A Reply

Your email address will not be published.