বিমানবন্দরে হাদিসুরের পরিবারের আহাজারি

0 197

ইউক্রেন ও রাশিয়ার সামরিক হামলার মধ্যে ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগর তীরের অলভিয়া বন্দরে গোলাবর্ষণের শিকার হয়ে আটকে পড়ে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজ। এতে জাহাজটির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যায়।

ওই হামলায় বেঁচে যাওয়া ২৮ নাবিককে আজ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দুপুরে তারা ঢাকা পৌঁছেছেন। নিহত ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুরের পরিবার ভেবেছিল এই ২৮ জনের সঙ্গে হাদিসুরের মরদেহও আসবে। সে জন্য তারা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় হাদিসুরের অন্য স্বজনদের আহাজারিতে বিমানবন্দর এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।

তবে এখন পর্যন্ত জানা যাচ্ছে, রকেট হামলায় নিহত ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মৃতদেহ নিরাপদ জায়গায় নিয়ে হিমাগারে রাখা হয়েছে এবং পরে সুবিধাজনক সময়ে মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

দুপুর ১টার আগে বিমানবন্দ‌রের সিআইপি গেটে এসে পৌঁছান হাদিসুরের ভাই। ক‌য়েক মি‌নিট অপেক্ষার পর ভাই‌, ভাই ব‌লে চিৎকার কর‌তে থা‌কেন।  এক পর্যা‌য়ে কণ্ঠ ভে‌ঙে আসে ত‌ার। কাঁদতে কাঁদতে মে‌ঝে‌তে লু‌টি‌য়ে প‌ড়েন প্রিন্স। বেশ কিছুটা সময় ভাই, ভাই ব‌লে মে‌ঝে‌তে গড়াগ‌ড়ি কর‌তে থা‌কেন। প‌রে তি‌নি উঠে দাঁড়ান। আর ভাই, ভাই ব‌লে চিৎকার কর‌তে থা‌কেন।

সেখা‌নে কথা হয় প্রিন্সের সঙ্গে। তি‌নি ব‌লেন, আমরা পত্রপ‌ত্রিকায় দে‌খে‌ছি আমার ভাই (মরদেহ) আসবে। আমার ভাই, কখন আসবে সেটা জান‌তে চে‌য়ে‌ছি। কিন্তু তারা কিছুই বল‌ছে না।

প্রিন্স যেখানে কান্নাকাটি করছিলেন তার একটু সাম‌নে গেটের বাইরে নিহত না‌বিক হাদিসু‌রের বাবা-মাও কান্নাকাটি করছিলেন। হা‌দিসু‌রের বাবা একবার মে‌ঝে‌তে প‌ড়ে যান। তিনিও আহাজারি করতে থাকেন আমার ছে‌লে‌রে আইনা দাও ব‌লে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.