ঝিনাইদহে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় মূলহোতাসহ ৩জন গ্রেফতার
মানিকগঞ্জ সদর এলাকা হতে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ মামলার প্রধান আসামী ও মূল পরিকল্পনাকারীসহ ৩জন গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, (১) আবু জার গিফারী গাফফার (৩৫), পিতাঃ মোঃ দিয়ানত আলী বিশ্বাস, শৈলকুপা, ঝিনাইদহ, (২) সাব্বির হোসেন (২২), পিতা-মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, সদর রাজবাড়ী এবং (৩) হাফিজুর রহমান (৪৬), পিতা-আবুল হোসেন প্রামাণিক, সদর রাজবাড়ী। এসময় তাদের কাছে থাকা ০১ কৌটা এসিড সদৃশ্য বস্তু , ০৩টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গত ০৭ মার্চ ২০২২ তারিখ ভোরে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-৪ ও র্যাব-৬ এর যৌথ অভিযানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত বর্ণিত অপহরণের সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত গাফফার অপহরণ সম্পর্কে জানায় যে, ভিকটিম একজন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী। সাম্প্রতিক সময়ে ভিকটিম এসএসসিতে খুব ভালো ফলাফল করায় গ্রেফতারকৃত গাফফার ধারণা করে যে ভিকটিম তার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। মূলত এই কারণেই সে ভিকটিমকে অপহরণের পরিকল্পনা করে।
ঘটনার দুই দিন পূর্বে ঝিনাইদহ কোর্ট সংলগ্ন এলাকায় গ্রেফতারকৃত গাফফার তার সমমনাদের নিয়ে অপহরণের চুড়ান্ত পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক গ্রেফতারকৃত ভিকটিমকে প্রাইভেট পড়া থেকে বাসায় যাওয়ার পথে রাস্তা হতে অপহরণ করে। অপহরণ পরবর্তী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য সে ভিকটিমকে প্রথমে রাজবাড়ীতে তার এক নিকট আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তার দুইজন সহযোগীকে পরিবর্তন করে নতুন দুজন সহযোগীসহ ভিকটিমকে ঢাকায় নিয়ে আসে। সেখানে আশ্রয় না পেয়ে তৎক্ষণাত মাইক্রোবাস যোগে ভিকটিমকে সিলেটে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পুনরায় ভিকটিমকে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা করে। গ্রেফতারকৃত গাফফার ভিকটিমকে এসিড এবং দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাতে ভিকটিম কোন প্রকার চিৎকার বা আওয়াজ না করে।
অতঃপর মানিকগঞ্জ হতে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহের বিভিন্ন থানায় নানাবিধ অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।