আবারও আশা জাগাচ্ছে জলাবদ্ধতা প্রকল্প
ফুরিয়ে আসছে কাজের মেয়াদ। কিন্তু শুরু হয় না কাজ। বন্দর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বয়হীনতায় ঝুলে রয়েছে নগরীর জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ। ইতিমধ্যেই বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে চিঠি দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে। এতে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এখন আবার আশা জাগাচ্ছে ১৫নং ঘাট থেকে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার ফ্লাডওয়াল নির্মাণের কাজ। গত বুধবার বিকেলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান প্রকৌশলী রমজান আলী প্রামাণিক ও বন্দরের প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে একটি দল প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানান, ‘বন্দরের আপত্তির কারণে ১৫নং ঘাট থেকে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত প্রকল্পের ১২ কিলোমিটার ফ্লাডওয়াল নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন থেকে সরে আসে পাউবো। বন্দর কর্তৃপক্ষের চিঠিতে বলা হয়, ১৫নং খাল থেকে তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু পর্যন্ত এলাকায় কোস্টগার্ড, বিএন নেভী, বোট ক্লাব, পিসিটি, ড্রাইডক, ঈশা খান বেইজ, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, লালদিয়া চরে কন্টেইনার টার্মিনাল, এনসিটি, এমপিবি, জেটি (১-১৩), সার্ভিস জেটি, সদরঘাট জেটি, ক্যাপিটাল ড্রেজিং এরিয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর ও সংশ্লিষ্ট সংস্থা-প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা থাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সমীচীন হবে না।
প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত নিয়েই আমরা প্রকল্প নিয়েছি। প্রকল্প অনুমোদনের পরও বন্দর, নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী, সিডিএ, সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করেছি। তারপরও বন্দরের আপত্তির কারণে আমরা ফ্লাডওয়াল নির্মাণ থেকে সরে আসার পরিকল্পনা নিয়েছি। কিন্তু আবার বন্দরের ইজারা বহির্ভূত (যেখানে স্থাপনা নেই) অংশে ফ্লাডওয়ার নির্মাণের অনুরোধ করেছে বন্দর।
প্রকল্প পরিদর্শনের বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে আবারো প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন ও সার্ভে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন করে সার্ভে করার পর মন্ত্রণালয়ে প্রকল্পের ডিজাইন পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পর প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ফ্লাডওয়াল নির্মাণ না হলেও কর্ণফুলী ও হালদায় ৬টি রেগুলেটর নির্মাণের কাজ চলছে। এসব রেগুরেটরের কাজ ৬০-৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। বন্দর সীমানা ছাড়াও কালুরঘাট সেতু থেকে হাটহাজারীর মদুনাঘাটের কাটাখালী খাল পর্যন্ত ছয় দশমিক ৫০ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হবে। ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন প্রকল্প’ একনেক সভায় অনুমোদন হয়। আগামী জুনের মধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।