কোন ব্যক্তি মাদক গ্রহন করে কিনা তা পরীক্ষা করা হয় ডোপ টেস্ট এর মাধ্যমে। বাংলাদেশে বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন, সরকারী বা বেসরকারী চাকরিতে যোগদান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সহ আরো অনেক ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছ। একই সাথে সময় মতো ডোপ টেস্ট করে সার্টিফিকেট নিতেও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে শুধুমাত্র বিভাগীয় সরকারী হাসপাতাল গুলো সহ কিছু কিছু জেলা সদর হাসপাতালে ডোপ টেস্ট করা যাচ্ছে এবং ডোপ টেস্ট এর জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা অনেক বেশী হওয়াতে বর্তমানে গ্রাহকদের অনেক দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে সিরিয়াল পাবার জন্য। তবে বর্তমানে সরকারী হাসপাতাল ছাড়াও বর্তমানে কিছু বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে ডোপ টেস্ট করার অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। এতে আরো তারাতারি ডোপ টেস্ট করে দিনে দিনে ফলাফল পাবার সুযোগ হবে বলে আশা করা যায়। তবে সরকারী হাসপাতালে সরকারের দেয়া ভর্তুকি সুবিধার কারনে গ্রাহকগন অনেক কম খরচে পরীক্ষা করতে পারছেন।
ডোপ টেস্ট বিভিন্ন ভাবে করা যায়। মুখের লালা, রক্ত, মূত্র, মাথার চুল থেকে ডোপ টেস্ট করা যায়। বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন, সরকারী বা বেসরকারী চাকরিতে যোগদান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সাধারণত মূত্র থেকে পরীক্ষা করা হয়। সাধারণত সকালের প্রথম মূত্র থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এবং এই পরীক্ষায় কমপক্ষে পাঁচ ধরণের মাদকের উপস্থিতির রিপোর্ট দেয়া হয়।
ডোপ টেস্ট এ যে সকল ড্রাগ এর উপস্থিতি দেখা হয়:
১) অপিওইডস (Opioids): এই ধরনের মাদকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে হেরোইন, মরফিন, কডেইন।
২) মেথামফেটামিন (Methamphetamine): এটি মুলত ইয়াবা-এর মূল উপাদান। মেথামফেটামিন ও ক্যাফেইন মিশ্রিত করে ইয়াবা তৈরী করা হয়।
৩) ক্যানাবিওনিডস (Cannabinoids): এধরণের মাদকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গাঁজা বা মারিজুয়ানা, ক্যান্নাবিস, হাশিস।
৪) বেনজোডায়াজেপাইনস (Benzodiazepines): এর মাঝে উল্লেখযোগ্য মাদক হচ্ছে ডায়াজেপাম, ক্লোনাজেপাম, মিডাজোলাম।
৫) অ্যালকোহল: ডোপ টেস্টে ইথাইল অ্যালকোহল পরীক্ষার মাধ্যমে সকল প্রকার মদ ও মদজাতীয় পদার্থ সনাক্ত করা হবে।
সরকারী হাসপাতালে ডোপ টেস্ট ফী ৯০০ টাকা নির্ধারিত হয়েছে। বেসরকারী পর্যায়ে এই ফী ৩,০০০ টাকা।
বেসরকারী পর্যায়ে ডোপ টেস্ট করার জন্য অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের তালিকা:
*
*