ছাত্রকে বিয়ে করে ভাইরাল সেই শিক্ষিকার আত্মহত্যা
নাটোরে কলেজছাত্রকে বিয়ে করে ভাইরাল হওয়া জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার আত্মহত্যা করেছেন। মামুন-নাহার দম্পতি নাটোর শহরের বলারীপাড়ার হাজী নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চারতলায় ভাড়া থাকতেন।
আজ রোববার (১৪আগস্ট) ভোররাতে নাটোর শহরের বলারীপাড়ার ভাড়া বাসার চারতলায় তিনি আত্মহত্যা করেন। তবে হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি নিশ্চিত হতে ভবনের অন্য বাসিন্দারা স্বামী মামুনকে আটক করে রেখেছে।
সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো: খয়ের উদ্দিনের মেয়ে। তার স্বামী মামুন হোসেন একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারী কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
এর আগে ছয় মাসের প্রেমের পর স্বামী পরিত্যক্তা এক ছেলের জননী খায়রুন নাহার গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে দুজন গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ৬ মাস পর গত জুলাই মাসে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে বেশ আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
ভবনের বাসিন্দা ও এলাকাবাসী জানান, আজ ভোরে স্বামী মামুন ভবনের অন্য বাসিন্দাদের জানান, তার স্ত্রী খুবজিপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার শেষ রাতে আত্মহত্যা করেছেন। লোকজন তার বাসায় গিয়ে খায়রুন নাহারের লাশ মেঝেতে শোয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাদের সন্দেহ হওয়ায় তারা মামুনকে বাসার মধ্যে আটকে পুলিশে খবর দেন।
নাটোর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নাছিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, বিষয়টি তারা তদন্ত শুরু করেছেন। তদন্ত ও লাশের ময়নাতদন্ত হলে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।