চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু

0 280

চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন খালাস না নেয়ার কারণে পড়ে থাকা নিলাম অযোগ্য ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

রোববার দুপুর থেকে চট্টগ্রামের আউটার রিং রোড-সংলগ্ন হালিশহরের আনন্দবাজারের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের একটি খালি জায়গায় গর্ত খুঁড়ে এসব পণ্য ধ্বংস করা হচ্ছে।

প্রথম দিন ধ্বংস করা হয়েছে ৩০টি কন্টেইনার পণ্য। এই কার্যক্রম চলবে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেন।

তিনি বলেন, রোববার থেকে পণ্য ধ্বংস করার কার্যক্রম শুরু হয়। ৩৮২টি কনটেইনার আছে, যেগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ ও পচনশীল পণ্য রয়েছে। এগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে পড়েছিল। আমদানিকারকরা বিভিন্ন কারণে বন্দর থেকে এগুলো খালাস করেননি। আমাদের পরিকল্পনা আছে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করার। কাস্টমসের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০টি কনটেইনার করে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব পণ্য আনন্দ বাজার ডাম্পিং ডিপোতে ধ্বংস করা হবে। তবে কেমিক্যাল জাতীয় পণ্য সিলেটে ধ্বংস হবে।

তিনি বলেন, এর আগেও কনটেইনারে থাকা পণ্য ধ্বংস করা হয়। নিলাম অযোগ্য ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এর আগে গত ৮ তারিখেও ৬৩টি কনটেইনারে থাকা পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। ধ্বংস করা কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের কিছু জায়গা খালি হবে।

কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে ধ্বংসযোগ্য কন্টেইনারের মধ্যে রয়েছে ১৩৬টি রেফার্ড কন্টেইনার, ৩২টি ড্রাই কন্টেইনার। বাকি ২১৪টি বিভিন্ন অফডকে থাকা ড্রাই কন্টেইনার।

মেয়াদোত্তীর্ণ এসব পণ্য ধ্বংসের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিজস্ব কোনো জায়গা নেই। এ কারণে সিটি করপোরেশনের ময়লার ডাম্পিং স্পেসের পাশের পাঁচ একর জায়গায় এসব পণ্য ধ্বংস করা হবে। ওই জায়গা খুঁড়ে পচে যাওয়া পণ্য ফেলার সাথে সাথে মাটিচাপা দেয়া হবে। এ কারণে কোনো দুর্গন্ধ ছড়াবে না।

কাস্টম কর্মকর্তারা জানান, বিদেশ থেকে আনা এসব কন্টেইনারভর্তি পণ্য নির্দিষ্ট সময়ে খালাস নেয়নি আমদানিকারকরা। নিয়ম অনুযায়ী আমদানি পণ্য ৩০ দিনের মধ্যে খালাসের নির্দেশ দিয়ে নোটিস দেয়া হয়। নোটিস দেয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না নিলে সেসব পণ্য নিলামে তোলে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। যেসব পণ্যের মেয়াদ থাকে না এবং পচে যায় সেগুলোর ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনা করে কাস্টম কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক অফিসার ফারুক হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের মোট কনটেইনার ধারণক্ষমতার প্রায় ১৫ শতাংশ ধ্বংসযোগ্য ও নিলামযোগ্য। এগুলো যখন বন্দরে ছিল, তখন এগুলোর পিছনে আমাদের বিদ্যুৎ ব্যয়ও হয়েছে। এখন এ পণ্যগুলো ধ্বংস করায় নতুন জায়গা খালি হবে। নতুন যে কনটেইনারগুলো সে জায়গা দখল করবে আমরা সেখান থেকে চার্জ পাব। এতে করে আমাদের বন্দরের রাজস্ব বাড়বে। অর্থাৎ সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.