রোববার দেশব্যাপী বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি
আগামী রোববার ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরসহ সকল মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
রাজধানীর মিরপুর ৬ নম্বর এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হামলার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
ফখরুল বলেন, ‘ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে পল্লবী জোনের সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার সময় নেতা-কর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চালায়। এটা প্রতিরোধ করতে বিএনপি নেতা-কর্মীরা যখন দাঁড়িয়ে থাকে তখন আমাদের নেতা-কর্মীদেরকে সরিয়ে দেয়ার জন্য পুলিশ লাঠিচার্জ, কাঁদুনে গ্যাস এবং শেষে গুলিছোড়ে। এই হামলায় ৭৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয় এবং আটজনকে গ্রেফতার করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পুরোপুরিভাবে বলতে চাই, এভাবে হামলা করে গ্রেফতার করে কখনোই আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা যাবে না। আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, বাংলাদেশের মানুষ এখন পরিবর্তন চাই।’
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ একটি গণতন্ত্র বিরোধী শক্তি, আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী শক্তি। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের অধিকার হরণকারী শক্তি। আওয়ামী লীগ অতীতেও একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিল, এখনো একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ যারা নিজেদেরকে স্বাধীনতার একমাত্র শক্তি বলে দাবি করে তারা এখন মানুষকে শোষণ করছে। দেশের অর্থনীতিকে পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করে দিয়ে রাজনীতিকে ধ্বংস করে দিয়ে কাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়ে সমাজ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে তাকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
আওয়ামী লীগের এই অবৈধ সরকার তারা চায় না যে, এখানে গণতন্ত্র থাকুক। তারা পুরোপুরি সন্ত্রাসী কায়দায়, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে আক্রমণ করছে এবং বাধা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ যে কাজটি করতে যাচ্ছে, এখানে যাতে কোনো নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না হয়। জনগণ নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে যে আন্দোলন করছে, সে নিরপেক্ষ সরকার যাতে এখানে কিছুতেই করা না যায় এবং তাদের কর্তৃতবাদী সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করার জন্য তারা আবারো একটি নির্বাচন করতে চায়, যে নির্বাচনে কোনো বিরোধী দল থাকবে না। বিরোধী দলকে পুরোপুরি মাঠ থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য এবং নির্মূল করার জন্য এ ধরনের হামলা চালাচ্ছে। তাদের সাথে পুলিশ সরাসরি সহায়তা করছে।
আমরা বারবার বলছি, পুলিশের উচিত নিরপেক্ষ থাকা। কিন্তু তারা পুরোপুরিভাবে হামলাকারীদের পক্ষপাত করছে। গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য তারা কাজ করছে।
এ সময় ঢাকা উত্তরা আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু উপস্থিত ছিলেন।