দেশের প্রায় ২ লাখ ভূমিহীন পরিবার পেয়েছে ঘর: প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুজিববর্ষে দেশে ১ লাখ ৮৫ হাজার ১২৯টি ভূমিহীন পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া, দেশের নগরাঞ্চলে জনসাধারণের আবাসন সুবিধা সম্প্রসারণে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ সোমবার (০৩ অক্টোবর) ‘বিশ্ব বসতি দিবস ২০২২’ পালন করা হবে। রোববার (০২ অক্টোবর) এদিনটি উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব বসতি দিবস’ পালনের ধারাবাহিকতায় প্রতি বছরের মতো এবারও দিবসটি পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘বৈষম্য হ্রাসের অঙ্গীকার করি, সবার জন্য টেকসই নগর গড়ি’ বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের আপামর জনসাধারণের সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন, যাতে দেশের সকল মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয় এবং একইসঙ্গে নগর ও গ্রামাঞ্চলের সুষম উন্নয়ন হয়। তার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গৃহীত কার্যক্রমের ধারবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। আমাদের সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ তারই বাস্তবমুখী বহিঃপ্রকাশ। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে নতুন গতি সঞ্চারের জন্য আমরা বিভিন্ন মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছি, যা দেশের পশ্চাৎপদ অঞ্চলসমূহকে দেশের উন্নয়নের মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত করবে। নিজস্ব অর্থায়নে আমাদের সরকার ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু তৈরি করেছে।’
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ বিশ্বের সামগ্রিক উন্নয়নের ধারাকে মন্থর করে দিলেও আওয়ামী লীগ সরকার এ অতিমারী মোকাবিলায় অসামান্য সাফল্য দেখিয়েছে, যা আজ বিশ্বে একটি দৃষ্টান্ত রূপে প্রতিষ্ঠিত। দেশের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ লোককে কোভিড ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় আনা হয়েছে, পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের ওপরে রাখা সম্ভব হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ নিম্ন কার্বণ নিঃসরণকারী দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পরিবেশবান্ধব নগর ব্যবস্থাপনা ও এর জন্য গৃহীত কর্মসূচি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সকলের সার্বিক সহযোগিতায় দেশে সুপরিকল্পিত নগরায়নসহ সুষম ও সামগ্রিক উন্নয়ন সাধিত হবে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলব- এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’ তিনি ‘বিশ্ব বসতি দিবস ২০২২’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।