বান্দরবানে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার জামছড়ি সেতুর উদ্বোধন সোমবার
অনলাইন ডেস্ক:
এক দিন বাদেই খুলবে টংকাবতী-বারআউলিয়া অভ্যন্তরীণ সড়কের সেতুর দার। নাম তার জামছড়ি সেতু। আগামী সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন এই সেতু। প্রায় বত্রিশ মিটারের দৃষ্টিনন্দন সেতুটি বান্দরবানে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ও সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার উদ্বোধনের পর থেকেই জামছড়ি সেতুতে ঘুরবে যানবাহনের চাকা। প্রায় ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অর্থায়নে এই সেতুটি নির্মাণ হয়।
জামছড়ি সেতুটি পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সদর উপজেলার টংকাবতী ইউনিয়নের সঙ্গে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া-চরম্বা ইউনিয়নকে যোগ করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, শস্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত পাহাড়ের সদর উপজেলার টংকাবতী, সূয়ালক, লামা উপজেলার সরই এবং সমতল ভূমির লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা, পদুয়াসহ আশপাশের ইউনিয়নগুলোর কৃষি-খামারিদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলবে।
স্থানীয় চাষী জানে আলম, সামাদউল্লাহ, মোস্তাকসহ অনেকে বলেন, সেতুর দুপাশে ষোল কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এটি এই অঞ্চলের দুপারের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাবে। পাহাড়ে উৎপাদিত কৃষি ও মৎস্যপণ্য সহজে কিনে ব্যবসায়ীরা ঢাকা, চট্টগ্রামে নিতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে টংকাবতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাংয়ং ম্রো বলেন, ‘নির্মিত সেতুসহ সংযোগ সড়কটি এলাকাবাসীর উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। পিছিয়ে পড়া পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর উৎপাদিত কৃষিপণ্য সহজে বাজারজাতের পথ তৈরি হবে। পাহাড় এবং সমতল ভূমির মধ্যে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগের এস্টিমেটর মো. শরীফুজ্জামান বলেন, ‘২০২০-২১ অর্থবছরে পিএমপি প্রকল্পের আওতায় বারআউলিয়া-টংকাবতী মহাসড়কের জামছড়ি সেতুটি ৫ কোটি ৯০ লাখ ৮৬ হাজার টাকায় বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩১ দশমিক ৮২৮ মিটার এবং প্রস্থ ১০ দশমিক ২৫ মিটার। এর আগে সেতুর দুপাশে প্রায় ১৬ কিলোমিটার জেলা মহাসড়ক নির্মাণ করা হয়।’
বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ্উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘সড়কটি মোট ২০ কিলোমিটারের। এরইমধ্যে ষোল কিলোমিটার সম্পন্ন হয়েছে। বাকি চার কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজও দ্রুত গতিতে চলমান রয়েছে। সেতুসহ সংযোগ সড়কটির ফলে পাহাড় এবং সমতল ভূমির মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে। দুপারের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সেতুটি পর্যটন শিল্পেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। সড়কটি দিয়ে কক্সবাজার থেকে সহজে থানচি এবং বান্দরবান জেলা সদরে চলাচল করতে পারবে।’
মোহাম্মদ মোসলেহ্উদ্দীন চৌধুরী আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে সেতুটি উদ্বোধনের কথা আছে।’