বুয়েট ছাত্র ফারদিন হত্যা : বান্ধবী বুশরা গ্রেফতার
অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নুর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় তার বান্ধবী ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী বুশরাকে গ্রেফতার করেছে।
মামলা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাকে রামপুরার বাসা থাকে গ্রেফতার করে রামপুরা থানা পুলিশের একটি দল।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ফারদিনের বাবা কাজী নুর উদ্দিন রানা বুশরার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে মামলা করেন। বুধবার দিবাগত রাত ৩টায় এ মামলা হয়। এরই মধ্যে বনশ্রী এলাকা থেকে বুশরাকে আটক করেছে রামপুরা থানা পুলিশ। তাকে থানায় নেয়া হচ্ছে।’
তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। লাশের ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানান তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) শেখ ফরহাদ বলেন, নিখোঁজের ৭২ ঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নুর ওরফে পরশকে হত্যা করা হয়েছে।
ডা. শেখ ফরহাদ জানান, পরশের পুরো মাথা ও বুকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সেগুলোর কোনোটাই সামান্য আঘাত নয়। তার ভিসেরা পাঠিয়েছি, দু’/তিন দিন পর বলতে পারা যাবে সে কিভাবে মারা গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অবশ্যই এটা হত্যাকাণ্ড।
তিনি বলেন, ‘ফারদিনের পুরো মাথার বিভিন্ন অংশে আঘাত পাওয়া গেছে। বুকের ভেতরে আঘাতের চিহ্ন আছে। প্রাথমিকভাবে আমরা বুঝতে পেরেছি, এটি অবশ্যই হত্যাকাণ্ড। ময়নাতদন্ত শেষে দ্রুত প্রতিবেদন দেয়া হবে।
ফারদিনের বাবা নুর উদ্দিন রানা বলেন, বুয়েট, ঢাবিসহ তিন জায়গায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছিল। পরে সে বুয়েটে ভর্তি হয় কিন্তু হলে যায়নি। তার ভর্তির কিছু দিন পর আবরার হত্যাকাণ্ড ঘটে। এরপর থেকে ছেলে আর হলে যেতে চাইনি। যে ভয়ে ছেলেকে বুয়েটের হলে আমরাও যেতে বলিনি আজ সেটাই সত্যি হলো।