গাছের সঙ্গে বেঁধে গায়ে আগুন দেওয়া নারীর মৃত্যু, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
অনলাইন ডেস্ক:
গোপালগঞ্জে গাছের সঙ্গে বেঁধে গায়ে আগুন দেওয়া নারী সুফিয়া বেগম (৫০) মারা গেছেন। আজ বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত ওই নারীর দেবর অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য লিয়াকত মোল্লাকে (৫০) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে ওই নারীর ভাই আখতার হোসেন বাদী হয়ে কাশিয়ানী থানায় লিয়াকত ও সহযোগী সোহেলের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও দুই থেকে তিনজনের নামে একটি মামলা করেন।
কাশিয়ানী থানার ওসি ফিরোজ আলম বলেন, ‘আসামি লিয়াকতকে ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাতেই তাকে ঢাকা থেকে কাশিয়ানী থানায় আনা হয়েছে। আজ তাকে গোপালগঞ্জের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।’
এর আগে, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কাশিয়ানীর সাজাইল ইউনিয়নের বাগঝাপা গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে বাড়ির উঠানের পেয়ারা গাছের সঙ্গে বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন দেবর লিয়াকত মোল্লা। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কাশিয়ানী হাসপাতালে নিয়ে যান সুফিয়াকে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। আগুনে ওই নারীর শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে যায় বলে কাশিয়ানী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন।
বাগঝাপা গ্রামের হিরন মোল্লা ও ইয়াকুব মোল্লা জানান, এই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ইউসুফ আলী মোল্লার সঙ্গে তাঁর আপন ভাই লিয়াকত মোল্লার দীর্ঘ দিন ধরে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল। অভিযুক্ত লিয়াকত মোল্লাও একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য। লিয়াকাত মোল্লা তার পৈতৃক সম্পত্তির প্রাপ্য অংশ আগেই বিক্রি করে অন্যত্র বসবাস করছেন । কিন্তু এখনও তিনি পৈতৃক সম্পত্তি পাবেন বলে দাবি করছেন। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিরোধের জেরে মঙ্গলবার লিয়াকত তার ভাবী সুফিয়া বেগমকে ঘর থেকে বাইরে এনে উঠানে থাকা পেয়ারা গাছের সঙ্গে বেঁধে গায়ে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যান।