সামরিক ব্যয় বাড়াতে যাচ্ছে চীন

0 183

অনলাইন ডেস্ক:

ক্রমশ ‘বাড়তে থাকা’ হুমকির প্রেক্ষাপটে চীন এই বছর সামরিক ব্যয় ৭ শতাংশেরও বেশি বাড়াবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তের পাশাপশি চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস (এনপিসি) সামনের অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের তৃতীয় মেয়াদের নির্বাচনকেও চূড়ান্ত করবে। ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস অনেকটা দেশটির পার্লামেন্টের মতোই কাজ করে।

বেইজিংয়ের সামরিক বাজেট প্রায় ২২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় চারগুণ কম। এ প্রসঙ্গে দেশটির বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং এনপিসিকে বলেছেন, চীনকে দমন করার ও চেপে ধরার বাইরের প্রচেষ্টা বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর উচিত সামরিক প্রশিক্ষণ এবং প্রস্তুতি জোরদার করা।’ খবর বিবিসির।

এর আগে এনপিসির অধিবেশনে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। আশা করা হচ্ছে বার্ষিক দুটি অধিবেশনের মধ্যে এই অধিবেশনটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হবে কারণ প্রতিনিধিরা এখানে রাষ্ট্রীয় ও কমিউনিস্ট পার্টির বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এই সপ্তাহের এনপিসি অধিবেশনে শি জিনপিংকে চীনের প্রেসিডেন্ট ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান হিসেবে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেওয়া হবে। শি গত বছরের অক্টোবরে চীনা নেতৃত্বের শীর্ষস্থানে তার অবস্থান সুরক্ষিত করেন। এ সময় চীনের কমিউনিস্ট পার্টি তাকে তৃতীয় মেয়াদে দলের নেতা হিসাবে পুনরায় নির্বাচিত করে।

শি জিনপিং ইউক্রেন যুদ্ধ ও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গুপ্তচর বেলুন কাহিনী নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খারাপ সম্পর্কের সময় এমনকি রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিনকে যখন উষ্ণ আলিঙ্গন করেছেন তখনও সামরিক ব্যয় বাড়িয়ে গেছেন।

মার্কিন কর্মকর্তারাও বারবার সতর্ক করেছে যে, চীন সামনের বছরগুলিতে তাইওয়ান আক্রমণ করতে পারে। চীন তাইওয়ানের চারপাশে আকাশ ও সমুদ্র সীমায় সামরিক শক্তি প্রদর্শন করছে যার মধ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনাও রয়েছে। চীন স্ব-শাসিত তাইওয়ানকে একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসাবে দেখে যা থাকবে বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে ।

পিপলস কংগ্রেসের এই অধিবেশনে একজন নতুন প্রধানমন্ত্রীর নামও ঘোষণা করা হবে।  দেশটির প্রধানমন্ত্রী মূলত অর্থনীতি ও প্রশাসনিক কাজের তদারকি করে থাকেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.