মৃত্যুর পর ৫ সন্তানকে দেহ ছুঁতে নিষেধ করলেন বাবা, সম্পত্তি দিলেন সরকারকে
অনলাইন ডেস্ক:
জীবনের অন্তিম সময়ে এসে সন্তানদের আচরণে কষ্ট পেলেন বাবা। যাদের জন্য জীবনের বিশাল একটা সময় ব্যয় করেছেন সেই সন্তানরাই বাবাকে কষ্ট দেয়াতে অভিমানে মৃত্যুর পর তাদের দেহ ছুঁয়ে দেখতে নিষেধ করেছেন।
সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরে। সোমবার (০৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ওই বৃদ্ধের নাম নাথু সিং। তার চার মেয়ে, এক ছেলে। ছেলেটি স্কুল শিক্ষক হিসেবে কাজ করে। আর মেয়েদের সবাই বিবাহিত। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি একাই থাকতেন। সাত মাস আগে গ্রামের একটি বৃদ্ধাশ্রমে তার ঠাঁই হয়। তবে বৃদ্ধাশ্রমে তার সাথে ছেলেমেয়েদের কেউ দেখা করতে আসে না। এতে তার হৃদয় ভেঙে যায়। তিনি সিদ্ধান্ত নেন তার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী ছেলেমেয়েদের কেউই হবে না। যেহেতু রাজ্য সরকার তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিয়েছে, ফলে তাদের কাছে সব সম্পত্তির মালিকানা দিয়ে যেতে চান।
মুজফফরনগরের বিড়াল গ্রামের বাসিন্দা নাথু সিং। সারাজীবন কৃষি কাজ করেছেন। নিজের জমিতে একটি স্কুল বা হাসপাতাল তৈরির ইচ্ছে ছিল তার। জমি হস্তান্তরের কাগজে সেই কথা উল্লেখ করেছেন এই কৃষক। এছাড়াও মৃত্যুর পর তার শরীর গবেষণা এবং একাডেমিক কাজে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তিনি।
বৃদ্ধাশ্রমের প্রধান রেখা সিং বলেন, শনিবার (০৪ মার্চ) নাথু সিংয়ের সব সম্পত্তি আইনি প্রক্রিয়া মেনে রাজ্য সরকারের নামে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃদ্ধের মৃত্যুর পরেই তার সব সম্পত্তি রাজ্য সরকার হস্তগত করবে।